নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনির আনুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও এক ক্রেতাকে মারপিট করে মালামাল তছনছ, টাকা ও মোবাইল সেট ছিনতাইয়ের অভিযোগে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। আনুলিয়ার বল্লভপুর গ্রামের মৃত অনন্ত দাশের ছেলে অভিযোগকারী ভরত চন্দ্র জানান, আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কাকবাসিয়া বাজারের আনার আলী গাজীর ঘর ভাড়া নিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা করছি। কাকবাসিয়া গ্রামের এটিএম শামছুজ্জামান, হাসমত আলি (হিটলার), ফারুক গাজীসহ আরও ১০/১৫ জন উক্ত স্থানে দোকান না দিতে দীর্ঘদিন বাঁধা দিয়ে আসছিলেন।
রবিবার (১২ জুলাই) সকাল ৮ টার দিকে অভিযুক্তরা দলবদ্ধ হয়ে আমার দোকানে ঢুকে মারপিট ও ১২ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট করাসহ বিক্রীত পণ্যের টাকা নিয়ে যায়। এ সময় আব্দুল্যাহ আল ইয়ামিন নামে এক ক্রেতা ঠেকাতে গেলে মেরে তার কাছে থাকা দামি রিএলমি-৫ মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করেছি। এ ঘটনায় ওসি গোলাম কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযুক্ত এটিএম ও হিটলার জানান, ‘ভরতকে প্রশাসন নির্ধারিত স্থানে কাঁচা বাজারে বসতে অনুরোধ জানানোর পরও সে আসতে অস্বীকার করলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠেলাঠেলি হয়। ঠেলাঠেলির মধ্যে ইয়ামিনের মোবাইল ছিটকে পড়ে গিয়েছিল। সেটি ভিড়ের মধ্যে কে নিয়েছে জানি না। আমরা ভরত চন্দ্রের সাথে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য তার কাছে মাফ চেয়ে তাকে একটি নতুন গেঞ্জি কিনে দিয়েছি’।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন জানান, ‘জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা বাজার স্কুলের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু ড. শিহাব উদ্দিন সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ব্যক্তি স্বার্থে মৎস্য সেটের কাছে নিজের জমিতে ২/১ জনকে বসিয়ে কাঁচামাল বিক্রয় করাতে চাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১৫/২০ টাকা করে আদায়ও করা হচ্ছে। ভরত চন্দ্রকে নিয়ে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটি শুনেছি, তার সাথে মোবাইলে কথা বলেছি, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনার মীমাংসা করে দেব’।