ডেস্ক রিপোর্ট: পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু বুলবুল বাহিনীর তিন সক্রিয় সদস্য নিহত হয়েছে। এসময় আরও দুই সদস্যকে আটক ও অপহৃত দুই জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সুন্দরবনের ফিরিঙ্গি ও মাহমুদা নদীর মোহনায় পূর্ব খালের চর এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের ঐ ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহতরা হলো- শরিফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও অজ্ঞাত একজন। অভিযানের সময়ে তাদের কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৩৩ রাউন্ড গুলি ও একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। প্রেস বিফ্রিংয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, সুন্দরবনে নতুন করে দস্যুতায় নামার চেষ্টা করলে তাদের পরিণতিও বুলবুল বাহিনীর সদস্যদের মতো হবে।
তিনি বলেন, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনকে কেউ অশান্ত ও নতুন করে বনদস্যু বাহিনী গড়ে ওঠার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। কোনো বাহিনী আর গড়ে উঠতে দেয়া যাবে না। র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারির হাত থেকে কেউ পার পাবে না বলে উল্লেখ করেন র্যাব মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে খুঁজে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, র্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে: রওসোনুল ফিরোজসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে বুলবুল বাহিনীর সদস্যরা সুন্দরবনের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করে বাংলাদেশ এর অংশের জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো। অভিযানের আগেই তারা সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করে ভারতে চলে যেয়ে সেখানে অবস্থান করতো। কয়েকদিন আগে দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা পত্রিকায় এই চক্রের কয়েকজনের ছবিসহ সংবাদ প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য সম্প্রতি পশ্চিম সুন্দরবনে খান ও বুলবুলসহ কয়েকটি ছোট ছোট বনদস্যু বাহিনী সক্রিয় হয়। গত ২০ জুন সুন্দরবনে মাছ শিকারে যাওয়া চার জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে একটি বনদস্যু বাহিনী। ঐ ঘটনার পর র্যাব সদস্যরা গত শুক্রবার থেকে পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে অভিযান পরিচালনা করছে।
সুন্দরবনে র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ বনদস্যু নিহত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/