নিজস্ব প্রতিনিধি : পাওয়ার ডেভালপমেন্ট বোর্ড সাতক্ষীরা অফিসের পাঁচটি মেহগনি গাছ, একটি আম গাছ, একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কেটে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি চালক আব্দুল¬াহ’র বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে এ গাছ কেটে তার বড় অংশ সরিয়ে ফেলা হয়। ঘটনার পর ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এ ঘটনার তদন্ত কার্যক্রম।
পিডিবি অফিসের কয়েকজন কর্মচারী ও অফিস সংলগ্ন কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম না প্রকাশের স্বার্থে সাংবাদিকদের জানান, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হকের গাড়ি চালক আব্দুল্লার নেতৃত্বে অফিসের সামনের পাঁচটি দেবদারু গাছ কাটা হয়। এ ছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলীর পুরাতন বাস ভবনের পাশের আরো দু’টি কৃষ্ণচূড়া গাছ ও একটি আমগাছ কাটা হয়। আম গাছের আটটি গুঁড়ি ব্যতীত সকল গাছ গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ শুক্রবার রাতে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাড়ি চালক আব্দুল্লাহ সাংবাকিদের জানান, নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হকের কথা মত তিনি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ গুলো বাইরে বিক্রি করেছেন। তবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ গুলো টেন্ডার ছাড়া কীভাবে রাতের আঁধারে কেটে নেয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে নিউজ না করে একজন সাংবাদিকের সাথে তিনি যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।
বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ ওজোপাডিকো ২১৩৮ এর সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছ কোন কাজে লাগে না। তাই আব্দুল¬াহ ——।
পিডিবি’র সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গাছ ছিল অফিস চত্বরে। সেগুলো কাটা হয়েছে কিনা তার জানা নেই। অফিসে এসে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
এদিকে, এ ঘটনায় বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার যশোর পিডিবির তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান বিষয়টি তদন্ত করতে সাতক্ষীরায় আসেন বলে জানা গেছে।