Site icon suprovatsatkhira.com

সরকারি ঘর দেওয়ার নামে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ

আলী মুক্তাদা হৃদয় : টাকা দিলেই মিলবে ঘর ও ১০ টাকা কার্ডের চাল। টাকা না দিলে কার্ড বাতিল হবে। এমনই কথা শোনা যায় তালা উপজেলার নগরঘাটা এলাকার অসহায় মানুষের মুখ থেকে। ঘর ও চালের কার্ড দেওয়ার নাম করে এমনই অভিযোগ ইত্থাপন করেছেন এলাকার অনেক অসহায় মানুষ। এসব অপকর্মের অভিযোগ তালা উপজেলার ০২নং নগরঘাটা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. বাবলুর রহমানের বিরুদ্ধে।

নগরঘাটা গ্রামের এরফান সরদারের পুত্র মো: সফিয়ার রহমান জানান, ইউপি মেম্বার বাবলুর রহমান নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পরে আমাকে বলে ভাই ঘর আসেব। তোমাকে ঘর দেব তুমি সেই ভাবে রেডি থাকো। তার কিছু দিন পর আমাকে বলে ৪০হাজার টাকা লাগবে। দরকষাকষি করে আমি মেম্বারকে ১৯হাজার টাকা দেই। টাকা দেওয়ার ২বছরের মধ্যে আমি ঘর পাই না। পরবর্তীতে আমি ইউপি মেম্বারের কাছে গিয়ে বলি ঘর হলো না আমাকে আমার টাকা ফিরিয়ে দিন। ইউপি মেম্বার আমাকে বলে তোমাকে আমি তোমার ঘরের জন্য ইট কিনে দিচ্ছি আরও কিছু টাকা দাও। তারপর ইউপি মেম্বারের মামাতো ভাই ও মেম্বার আমার কাছ থেকে আরও ৯হাজার টাকা নেয়। আমার ঘর আমি এখন না পাওয়ায় ইউপি মেম্বারের কাছে অনেক দিন হাঁটাহাঁটি করার পর আমাকে ২০হাজার টাকা ফেরত দেয়। আর বাকি টাকা দিতে পারবে না বলে আমাকে খুন জখমের হুমকি দিতে থাকে।

নগরঘাটা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত জামাল উদ্দীনের ছেলে হাবিবুর রহমান জানান সরকারী পাকা ঘর দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ তিন বছর আগে নগরঘাটা ইউপি সদস্য বাবলুর রহমান আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয়। তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা, ঘর কোনটাই পায়নি আমি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান এর আগেও বেশ কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ভাতার কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এছাড়া এই দুর্নীতিবাজ ইউপি সদস্য, অন্যের ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে নিজে ত্রাণ তুলে নেয় বলে অভিযোগ আছে এই বাবলু মেম্বারের বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. বাবলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সব মিথ্যা কথা বলছে। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেয়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version