প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার তালায় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এক ব্যক্তির পৈতৃক সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা ও মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ১২ দিনেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি। শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ইছাক আলী মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমারা পিতার স্বত্বদখলীয় জমিজমা নিয়ে তেতুলিয়া গ্রামের মৃত শওকত মোড়লের ছেলে লতিফ মোড়লের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রæতার জের ধরে গত ৭ জুন বেলা ১০টার দিকে মৃত শওকত মোড়লের ছেলে লতিফ মোড়ল, আতিয়ার মোড়ল ও রহিম মোড়ল, লতিফ মোড়লের ছেলে নয়ন মোড়ল, শামছুর মোড়লের ছেলে সোহেল মোড়ল এবং মতিয়ার মোড়লের ছেলে সোলাইমান মোড়ল আমাদের ভোগ দখলীয় জমিতে থাকা নার্সারিতে ঢুকে নার্সারির চারা তুলতে থাকে।
এক পর্যায় আমার পিতা ইছাক আলী মোড়ল, মাতা জোহরা বেগম, চাচাতো বোন ফারহানা ইয়াসমিন ও বড় বোন আশরাফুন নাহার বাধা দিলে উল্লেখিতরা বাঁশের লাঠি, লোহার রড এবং হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে তাদেরকে গুরুতর ফোলা জখম করে। তিনি অভিযোগ মকরে বলেন, হামলার সময় লতিফ মোড়ল আমার মায়ের তলপেটে লাথি মারে।
আতিয়ার আমার বোন ফারহানার গলায় থাক এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং পরনের কাপড় ধরে টানাটানি করে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা ও রহিম মোড়ল হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা চেপে ধরে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় আমার বড় বোন আশরাফুন নাহার উক্ত সন্ত্রাসীদের হাত ছোট বোন ফারহানাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সোলাইমান মোড়ল বড় বোনের সালোয়ার কামিজ ধরে টানাটানি করে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে ও গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। নয়ন মোড়ল ও সোহেল মোড়ল হত্যার উদ্দেশ্যে আমার পিতার মাথায় গাছ কাটা দা দিয়ে কোপ মারলে তিনি ডান হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করেন।
এসময় দায়ের কোপে তার হাতের আঙুলে হাড় কাটা জখম হয়। আমার পিতা-মাতা ও বোনদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে। পরে আমি তাদেরকে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই।
আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো বলেন, এ ঘটনায় আমি নিজে বাদী হয়ে ৭ জুন রাতে তালা থানায় উল্লেখিতদের নামে একটি এজাহার দায়ের করি। কিন্তু ঘটনার ১২দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ মামলা নিতে তাল বাহানা করছে। ফলে আসামিরা আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রকাশ্যে জীবন নাশ ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আসামিদের হুমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে তালা থানায় দেয়া এজাহারটি তদন্ত পূর্বক নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।