খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ঘরবাড়ি হারিয়ে পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাংগা গ্রামের অসহায় বৃদ্ধ ঈমান আলী সরদার ও তার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শুক্রবার (১২ জুন) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ‘তাদের একমাত্র আশ্রয়স্থল কুড়ে ঘর সুপার সাইক্লোন আম্পানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ের এতদিন অতিবাহিত হলেও আর্থিক সংকটে ঘর মেরামত করতে না পেরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পরিবারটি।
বৃদ্ধ ঈমান আলী জানান, ‘আমাদের বসবাসের একমাত্র জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরটি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ভেঙে পড়েছে। বসত ঘরটি ভেঙে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে স্ত্রী রোকেয়া বেগম, একমাত্র কন্যা রেবেকা ও শিশু নাতনিকে নিয়ে কাশিয়াডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
তিনি আরও জানান, ‘প্রায় এক বছর যাবৎ স্ট্রোক জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকি। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়েছিলাম তার একটা শিশু কন্যা আছে কিন্তু স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমার কুড়ে ঘরেই থাকতো। ঝড়ে কুড়ে ঘরটি ভেঙে যাওয়ায় মহা বিপদে আছি। আমার স্ত্রী গ্রাম থেকে চাল ডাল চেয়ে এনে কোন রকম দু’বেলা দু মুঠো খেয়ে বেচে আছি। মাঝে মধ্যে না খেয়েও থাকতে হয়। কি করব আমি তো অক্ষম’!
এ ব্যাপারে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন পাঠিয়েছি। এছাড়া এসিল্যান্ড মহোদয় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ঘর করে দেয়ার বিকল্প চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ব্যক্তি সহায়তাও করা হবে। আশা করছি ৩-৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে বাড়ি সংস্কার করে বাড়িতে ফেরাতে পারব’।