কয়রা প্রতিনিধি : ভয়াবহ সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে বেড়ি-বাধ ভেঙে বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে উপক‚লীয় অঞ্চল খুলনার কয়রার জনজীবন। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব কল্যাণ ইউনিট। তারা ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উপক‚লীয় চরাঞ্চলসহ ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকায়।
তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ মে মানব কল্যাণ ইউনিট এর উদ্যোগে গিভ বাংলাদেশের অর্থায়নে সোনামুখ খুলনার ব্যবস্থাপনায় আম্পানে বিধ্বস্ত বেড়ি-বাধে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কাজ করা কয়েক হাজার মানুষের মাঝে শুকনা খাবার (৩ শ’ কেজি চিঁড়া ও ১শ’ কেজি মিষ্টি) বিতরণ করেন। মানব কল্যাণ ইউনিটের এমন মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে সকল স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহŸান জানিয়েছেন সচেতন মহলসহ সাধারণ মানুষ।
এ ব্যাপারে মানব কল্যাণ ইউনিটের সভাপতি আল আমিন ফরহাদ বলেন, ‘আম্পানে পুরো কয়রা ৪টি ইউনিয়ন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। সরকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের পাশাপাশি আমরা আমাদের সাধ্যমতো সহযোগিতার করার চেষ্টা করছি। এখানে আমরা নিরাপদ পানি, খাবার স্যালাইন, শুকনো খাবার দিচ্ছি। এই সহযোগিতা একা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। সকলে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা তাদের কিছু দুর্ভোগ লাঘব করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, আম্পানের দিন থেকে আমাদের স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু অসুস্থ অবস্থায় এলাকায় অবস্থান করে জনগণের জানমাল রক্ষাসহ প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। স্থায়ী বেড়ি-বাধের জন্যসহ তিনি নিজে সর্বদায় মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকেন। তিনি সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করে যাচ্ছে, তার উৎসাহ অনুপ্রেরণা আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি করছে। গিভ বাংলাদেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা আমাদের এ দুঃসময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দায়িত্ববোধ থেকে বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়ানো দরকার বলে মনে করেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই সভাপতি।