নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্টদেরর রক্ষা করতে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনে যথাযথ বিধি অনুসরণ করা যাবে না বিধায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু বিধি বিধানের তোয়াক্কা না করে অসৎ উদ্দেশ্যে কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটি গঠনের পায়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসায় মোট ১৫ টি শ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, ঢাকার অধীনে এবং পরবর্তী তিনটি শ্রেণি ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকার অধীনে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও ইসলামি আরবি বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতিতে ১৭ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণা করে। কয়েকটি দফায় বৃদ্ধি করে সর্বশেষ আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
অথচ এই নির্দেশনা লংঘন করে দারুল উলুম চৌমুহনী ফাজিল মাদ্রাসার বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মনিরুজ্জামান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পরবর্তী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গোপনে তফশিল ঘোষণা করেছেন যাতে মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ তারিখ ছিল গত ২৫ জুন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মনোনয়নপত্র ক্রয়ের শেষ তারিখে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ছাত্রের অভিভাবক শেখ সিরাজুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন অভিভাবক এবং দাতা সদস্য মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ দেখতে পান। সাথে সাথে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নুরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তারা নানা টালবাহানার এক পর্যায়ে ওইদিন সাতক্ষীরায় আছেন উল্লেখ করে সংযোগ বিছিন্ন করেন। অথচ এর আগেই বর্তমান সভাপতি তার পছন্দের ৩/৪ ব্যক্তিকে দিয়ে অভিভাবক সদস্য এবং দাতা সদস্য হিসেবে মনোনয়নপত্র স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় তাদেরকে বহাল করার জন্য গোপনে মিশনে নেমেছেন বলে জানা গেছে।
ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে তঞ্চকতার বিষয়টি ইউপি সদস্য ও ছাত্র অভিভাবক শেখ সিরাজুল ইসলামসহ ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ইতোমধ্যে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ নুরুল হক জানান, ‘এ ব্যাপারে আমি এখন কিছু বলতে পারছি না। পরে একসময় কথা বলবো’।