Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে ভুয়া জেলে সেজে নিবন্ধনকৃত সমিতি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে জল-মহালের উপর অবৈধ পাকাবাড়ি নির্মাণ ও ভুয়া মৎস্যজীবী (জেলে) সেজে নিবন্ধনকৃত হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় আশাশুনি উপজেলা পরিষদ চত্বরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বড়দল ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য চন্ডী চরণ গাইন, খোকন মোল্যা, তাপস মন্ডল, ফারুক মোল্যা, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, আশাশুনির দুর্নীতির আখড়া, মামলাবাজ ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন গং কর্তৃক ভুয়া মৎস্যজীবী (জেলে) সেজে প্রকৃত মৎস্য জীবীদের সাথে বছরে পর বছর প্রতারণা যাচ্ছে। তিনি সরকারি নীতি লঙ্ঘন করে ধাড়িয়াখালী খাল ও হেতাইলবুনিয়া জল-মহালের উপর অবৈধ পাকা বাড়ি (ছাদ বিশিষ্ট) নির্মাণ করে বসবাস করে যাচ্ছে। মেম্বর ক্ষত্রিয় সমাজের ছেলে হলেও ভুয়া মৎস্যজীবী (জেলে) সেজে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে একটি সমিতি করেছেন। তার নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আজ আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই সংগ্রাম চালিয়ে যাব।

প্রকৃত পক্ষে তাদের সমিতির নাম ছিল হেতাইলবুনিয়া যুব সমবায় সমিতি। ২০০৯ সালে উক্ত নীলকণ্ঠ গংরা অবৈধভাবে ধাড়িয়াখালী ও হেতাইলবুনিয়া খাল জল-মহাল দখল করে রাখলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৬/০৮/২০০৯ তারিখের উ:নি:অ/আশা/৯-১/০১-৭৭২(৩) স্মারকের তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু উক্ত মামলাবাজ ইউপি সদস্য নীলকন্ঠ গাইন ২০/০৮/০৯ তারিখে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদী করে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে ৮৯/০৯ (খাস) নং মিস মামলা দায়ের করেন। সরকার শুধুমাত্র প্রকৃত মৎস্যজীবীদের সমিতির মধ্য ইজারা দেওয়ার জন্য ঘোষণা করেন। ২০১১ সালের দিকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভুয়া মৎস্যজীবী সেজে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধন করেন। কিন্তু সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের শাখা ৭ এর ২৩ জুন ২০০৯ তারিখের প্রকাশিত সরকারি জল-মহাল ব্যবস্থাপনা নীতি বহির্ভূত যাহার স্বাক্ষর নং ভু:ম:/শা-৭বিবিধ (জল) ০২/২০০৯-১৯১ এর ২(খ)ও ৫এর ধারা অনুসারে নীলকন্ঠ গাইন গংরা যোগ্য না।

নীলকণ্ঠ গাইন ধাড়িয়াখালি ও হেতাইলবুনিয়া খাল জল-মাহলটি কুট-কৌশলে শ্রেণি পরিবর্তন করে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে প্রবাহমান খাল ভরাট করে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন। তার সমিতির অন্যান্য সদস্যরা জল-মহালের খালে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে যাচ্ছে। সরজমিনে তদন্ত করে হেতাইলবুনিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি নিবন্ধন বাতিল করে প্রকৃত জেলেদের মাঝে খাল বণ্টন করতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version