মো. রাহাত রাজা
বর্তমান বিশ্বের কাছে অনলাইন বিনোদনের ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম ইউটিউব। এখানে নিয়মিত বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, প্রযুক্তি বিষয়ক নানা ধরনের ভিডিও আপলোড হয়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক’শ মিলিয়ন ভিডিও প্রদর্শিত হয়ে থাকে। কেউ কেউ এই প্লাটফর্মকে অর্থ উপার্জনের মূল মাধ্যম হিসেবেই বেছে নিচ্ছেন।
তাই সারা বিশ্বজুড়েই ইউটিউব জনপ্রিয় চ্যানেলগুলোকে সম্মানিতও করে থাকে। তারই অংশ হিসেবে ইউটিউব ‘সিলভার প্লেবাটন’ সম্মাননা পুরস্কার টি হাতে পেলাম।
জানুয়ারির শেষের দিকে আমার ইউটিউব চ্যানেল (কৃষি ও কৃষকের গল্প) এক লাখ সাবস্ক্রাইবার পূর্ণ হয় । এজন্যই পুরস্কারটি প্রদান করেছে ইউটিউব।
গত ১৬ জুন ‘সিলভার প্লেবাটন’ পুরস্কারটি হাতে পেয়ে মনে পড়ে গেলো অনেক ফেলে আসা স্মৃতি। ক্লাস ৯ এ পড়ার সময় আমার বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দেয় তখন থেকে আমি বিভিন্ন ছোট ছোট ভিডিও এডিটিং করে বন্ধু দের দেখাতাম। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ভিডিও এডিটিং টা আরো ভালো করে শিখে নেয়ার সময় পাই।
২০১৩ তে ফ্রেন্ডস ভিডিওর মোস্তফা ভাইয়ের কাছ থেকে ক্যামেরার কাজ টা ভালোভাবে শিখে নেই। পরে মোস্তফা ভাইয়ের মাধ্যমে কয়েক টি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ম্যান হিসেবে কাজ করি।
২০১৭ তে এসে ক্যামেরার পিছোন থেকে সামনে আসার ইচ্ছা টা তৈরি হয়। তখন থেকে যেকোনো নিউজ প্রেজেন্টেশন এর চেষ্টা করি। অনেকে হাসি তামাশা করলেও আমি আমার চেষ্টা চালিয়ে যাই। কৃষি ডিপ্লোমা শেষ হওয়ার পর চাকরির চেষ্টা করিনি কারণ আমার ভালো লাগার কাজটা ছিলও ভিডিও মেকিং।
২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর আমি কৃষি ও কৃষকের গল্প চ্যানেল টি তৈরি করি। এই চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক কৃষক ও খামারীদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সহকর্মী শিমুলকে সাথে নিয়ে ছুটে চলি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত।
চ্যানেলে এখন প্রায় দেশের বিভিন্ন জেলার ১৫১টি প্রতিবেদন রয়েছে। কৃষি ও কৃষকের গল্প চ্যানেল শুরু করতে আমার সাংবাদিক বড়ভাই, বন্ধু, ছোট ভাই অনেকেই আমাকে সাহায্য করেছে উৎসাহ দিয়েছে। রেজাউল করিম, শহিদুজ্জামান শিমুল, আর এস শুভ, রতন রায়, সাকিবুল হাসান সাকিব ক্যামেরার পিছনে থেকে সাহায্য করেছে।
সাতক্ষীরার সাংবাদিকরা অনেক উৎসাহ দিয়েছে, অনুপ্রাণিত করেছে আমাকে। সব সময় চেষ্টা করেছি বস্তুনিষ্ঠ কৃষি প্রতিবেদন তুলে ধরার এ কারণেই অল্প দিনেই দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছে কৃষি ও কৃষকের গল্প।
আপনারা সবাই দোয়া করবেন, যেন ভবিষ্যতে গোল্ড প্লেবাটন অর্জন করতে পারি এবং দেশের যুব সমাজকে কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করে আত্মনির্ভর করতে পারি।