শ্যামনগর অফিস : শ্যামনগরের নুরনগর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের সুপেয় ও নিরাপদ পানির আধার হরিনাগাড়ী দিঘিটি সংরক্ষণের দাবি করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানায়, নুরনগর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল হরিনাগাড়ী গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে দিঘিটি কয়েক যুগ ধরে ২০ গ্রামের মানুষের সুপেয় ও নিরাপদ পানির আধার হিসেবে পরিচিত। প্রায় ৫ বিঘা জমি পরিসরে দিঘিটির চতুর দিকে অরক্ষিত থাকায় গরু-ছাগল ও মানুষের অবাধ বিচরণে প্রতি বছরে পানি দূষিত হয়। দূষিত পানি পান করে অনেকে পানি বাহিত রোগ সহ নানান পীড়ায় আক্রান্ত হয়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, এলাকার অধিকাংশ জনগণ দিনমজুর তথা গরিব হওয়ায় দিঘিটি পাকা প্রাচীর বা কাঁটা তারের বেষ্টনী দিতে সরকারি বে-সরকারি সহায়তার প্রয়োজন। দিঘির পাড়ে ৩টি পানির ফিল্টার থেকে প্রত্যহ দূর-দূরান্ত হতে কয়েক হাজার লোক পানি নিয়ে যায়। বর্তমানে ১টি ফিল্টার সংস্কারের অভাবে অকেজো রয়েছে। কয়েক মাইল দূর থেকে শিশু, বয়স্ক নারী, পুরুষ অতি কষ্টে পানি নিয়ে যাচ্ছে। কাচা রাস্তা ও সেতুর যোগাযোগ ভাল না হওয়ায় পানি নিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয় নারী পুরুষের। শুষ্ক মৌসুমে সাইকেল, মটর সাইকেল, মটর ভ্যান, ইঞ্জিন ভ্যান ও ইজিবাইক যোগে পানি নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুমে পানি নিতে পোহাতে হচ্ছে দুর্বিষহ কষ্ট।
ইতোমধ্যে হরিনাগাড়ী দিঘির পানি বিশুদ্ধ রাখতে পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়েছে। মুসলমান ও হিন্দু বেষ্টিত এলাকা হওয়ায় মিলবন্ধনে জনসম্মুখে সকলের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি গঠিত হয়। কমিটির উপদেষ্টারা হলেন, হাবিবুর রহমান, জালাল উদ্দীন গাজী, নজরুল ইসলাম, নিমাই মন্ডল, শিবপদ মন্ডল ও ভোলা নাথ মন্ডল, সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন, ক্যাশিয়ার হাফেজ মাও. জাহিদুল ইসলাম, সহকারী ক্যাশিয়ার বিশ্বজিৎ রপ্তান। সদস্যরা হলেন, আবুল কাশেম, মোবারক করিম, লিটন, রেজাউল করিম, কিরণ পরা মানিক, গৌরপদ মন্ডল, নিরাঞ্জন গাইন ও পবিত্র মন্ডল।
এ শক্তিশালী কমিটি দিঘিটির পানি যথাযথ সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে যথাযথ দায়িত্ব পালনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এমতাবস্থায় সরকারি ও বে-সরকারি সংস্থা, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় দিঘিটি পাকা প্রাচীর বা কাঁটা তারের বেষ্টনী, পানির ফিল্টার বাড়ানো, যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতি, সেতু বা পুল সংস্কার ও পাকা ব্রিজের নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকবাসী।