জুন ১৫, ২০২০
মুন্সীগঞ্জে এনজিওর মাধ্যমে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নে এনজিওর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে যতীন্দ্রনগর মীরগাং গ্রামের এলাই বক্স সরদারের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে এসডিএ নামের একটি এনজিও খুলে মানুষকে লোন দিতে শুরু করে পরবর্তীতে পার্শ্বেখালি যতীন্দ্রনগর গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি. এর মাধ্যমে স্থানীয় জেলে বাওয়ালিদের ঋণ দেওয়া ও সঞ্চয় নেওয়া শুরু করে। গ্রাহকদের ঋণ দিয়ে তাদের কাছ থেকে কৌশলে ব্যাংকের চেক স্ট্যাম্প নিয়ে পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করে দেয়ার পরেও তাদের চেক স্ট্যাম্প ফেরত দিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগীরা জানায়, অধিক হারে সুদের টাকা দাবি করে টাকা না দিতে পারলে মামলার ভয় দেখায়। এভাবেই সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে রুহুল কুদ্দুস। এছাড়া অধিকাংশ গ্রাহকদের থেকে চার থেকে পাঁচটি স্ট্যাম্প নিয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, ‘রুহুল কুদ্দুসের সমিতির থেকে লোন নিয়ে পরিশোধ করে দেওয়ার পরেও আমাদের জামানত রাখা চেক স্ট্যাম্প ফেরত দেয়নি। প্রায় এক-দেড় বছরে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। এভাবে আমাদেরকে জিম্মি রেখে অধিক হারে সুদের টাকা দাবি করে সে’। ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান সহ আরো অনেকে জানান, ‘আমি তার সমিতির একজন সদস্য করার সময় টাকা দিতে না পারায় আমার নামে উকিল নোটিস পাঠিয়েছে। তারপর টাকা পরিশোধ করতে গেলে আমার জমা দেওয়া স্ট্যাম্প ফেরত দেবে না বলে জানায়’। এরকম অনেকেই রুহুল কুদ্দুসের কাছে জিম্মি আছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কোন সমাধান পায়নি বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করে আসছি। আমার প্রতিপক্ষদের সমিতির সাথে অন্তর্ভুক্ত না করায় আমাকে ফাঁসানোর জন্য বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করছে। যারা অভিযোগ করেছে তারা আমার সমিতির কোন সদস্য না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। যদি আমি অপরাধ করে থাকি আইন আমার ব্যবস্থা নেবে’। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আনারুল বলেন, ‘অনেক ভুক্তভোগীরা আমার কাছে অভিযোগ করেছে কিন্তু সে আমাকে মূল্যায়ন করে না। যার কারণে বিচার করতে পারি না’। এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। আমি কুদ্দুসকে ফোন করে স্ট্যাম্প গুলো ফিরিয়ে দিতে বলেছিলাম’। এমতাবস্থায় প্রশাসনের কাছে স্থানীয়দের দাবি এ ধরনের কর্মকান্ডের তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। 8,006,682 total views, 1,582 views today |
|
|
|