স্টাফ রিপোর্টার : ভালো নাম হুসাইন আলী। ডাক নাম হোসেন মালী। সে কলারোয়া উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের সরোয়ার মালীর বড় ছেলে। বছর চারেক আগে সরসকাটি বাজারে পুরাতন চার্জার লাইট ও মোবাইল ফোন সারাই করেই দান চলত তার। জমি জমা তেমন না থাকায় অনাটনের সংসারে বাবা সরোয়ার মালী ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালিয়ে যৌথ সংসার নির্বাহ করে আসছিলো। বছর তিনেক হলো হোসেন মালী বিকাশে টাকা লেনদেনের ব্যবাসা শুরু করে। এর পর থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কোটিপতি হোসেন মালী এখন একটি এজেন্ট ব্যাংকের মালিক। লেখা পড়ায় প্রাথমিকের গন্ডি পেরুতে না পারলেও দামী স্যুট টাই পরে বিদেশী সাহেবদের মতো চলাফেরা তার। এলাকায় জনশ্রæতি আছে বিকাশের আড়ালে হুন্ডি ব্যবসাই তার আমুল পরিবর্তন করে দিয়েছে।
গ্রামবাসি জানায়, আর্থিক ভাবে হঠাৎ ঘুরে দাড়ানো হোসেন ও তার বাবা সরোয়ারের লাইফ ষ্টাইলে পরিবর্তন আসায় এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ কাউকে তারা মূল্যায়ন করে না। সামন্য বিষয় নিয়েও মানুষের সম্মানহানিসহ হুমকি ধামকি দিয়েই যাচ্ছে। সংঘবদ্ধ অসৎ চক্রের টিম লিডার হোসেন আলী কালো টাকায় সব কিছু ম্যানেজ করতে পারায় আইনও যেন মানতে বাধ্য নয় সে। অপ্রতিরোধ্য এই হোসেন মালীর হুমকির শিকার তার শ^শুর সিদ্দিক মালীও।
একই গ্রামের মৃত কওছার মালীর ছেলে অসহায় সিদ্দিক মালী জানায়, , গত চার বছর পূর্বে তার মেয়ে সাবিকুন্নাহারের সাথে হুন্ডি ব্যবসায়ী মো: হুসাইন মালী ওরফে হোসেন মালীর বিয়ে হয়। সাবিকুন্নহার সন্তান সম্ভাবা হলেই মারপিট করে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করে দেয়। এভাবে বিয়ের চার বছরের মধ্যে স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার সন্তান নষ্ট করা হয়। এসব কাজে সহায়তা করে হোসেন মালীর বাবা ছরোয়ার মালী। এঅবস্থায় সাবিকুন্নাহার মারাত্ম অসুস্থ হয়ে পড়ে। চিকিৎসা না করায় তার অবস্থা হয়ে পড়ে সংকটাপন্ন। মেয়েকে চোখের সামনে মৃত্যু হবে ভাবতেই যেন পাথর হয়ে যায় সিদ্দিক মালী। তড়ি ঘড়ি মেয়েকে নিজ হেফাজতে নিয়ে তার চিকিৎসা করায়। কলারোয়া সাতক্ষীরা ও ঢাকায় চিকিৎসা করাতে ইতি মধ্যে তার খরচ হয়ে যায় ১৫ লক্ষাধিক টাকা।
ইতি মধ্যে সরোয়ার মালী ও হোসেন মালী ঘোষনা করে সিদ্দিক মালীর মেয়েকে আর ঘরে তোলা হবে না। স্বামী হিসাবে স্ত্রীকে দেখভাল করার কথা বললে হোসেন আলী জানায়, সাবিকুন্নাহারকে তালাক দিয়েছি। তাই তার দেখাশোনা ও চিকিৎসা খরচ দেয়া হবে না। বাধ্য হয়েই সিদ্দিক মালী গতকাল বৃহস্পতিবার সাকলে জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মাষ্টার আজিজুর রহমানের সাথে পরামর্শ করার জন্য যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে অসহায় সিদ্দিক মালীকে একা পয়ে হোসেন মালীসহ অজ্ঞাত ১/২ জন অজ্ঞাত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী তার গতি রোধ করে বাড়াবাড়ি না করার জন্য চাপসৃষ্টি করে। তাদের কথার প্রতিবাদ করায় হোসেন মালীসহ সন্ত্রাসীরা সিদ্দিক মালীকে মারপিট করতে যায়। এসময় রাস্তা দিয়ে লোকজন চলে আসায় তাকে মার্ডার করার হুমকি প্রদান করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সমাজ সেবক রওশন মেম্বার, পবিত্র সাহা, মোশাররফ হোসেন, শেখ ফিরোজ আহম্মেদসহ অনেকেই ঘটনাস্থলে যান।
পরে তরা হোসেন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের সাথেও অসৌজন্যমূল আচরন করে বলে, থানা পুলিশ ম্যানেজ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান মেম্বারও গোনার সময় নেই। কারোর কথা শোনার টাইম নেই।