Site icon suprovatsatkhira.com

পদ্মপুকুর এলাকার কার্ডধারী জেলে ফজলুল হকের সরকারি চাল গেল কোথায়

শ্যামনগর অফিস : শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নে জাতীয় পরিচয়পত্র, জেলে-কার্ড ও জেলে-কার্ডের তালিকায় নাম থাকা সত্তে¡ও সরকারী বরাদ্দ চাল পেলেন না ফজলুল হক সরদার নামীয় এক জেলে। পাখিমারা গ্রামের মৃত আপতাপ সরদারের পুত্র ফজলুল হক সরদার জানান, তিনি ১১ নং পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম জেলে কার্ডের চাল নিতে ফজলুল হককে ট্যাক্স এর টাকা পরিশোধের শর্ত জুড়ে দেন। গত ২১ জুন ২০২০ তারিখে ফজলুল হক সরদার পদ্মপুকুর ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাখিমারা গ্রামে হওয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ১১ নং পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদে ধার্য ট্যাক্স ও রেট আদায়ের রশিদমূলে গৃহ জমির কর বাবদ ১ শত টাকা পরিশোধ করেন। যার অ্যাসেসমেন্ট- নং- ২২২৬।

ফজলুল হক সরদার নামে জেলে-কার্ড ও জেলে-কার্ডের তালিকায় নাম থাকা সত্তে¡ও সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ৫৬ কেজি চাল থেকে বঞ্চিত হলেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্র নং-৮৭১৮৬৭৯১৪১৪৩২, জেলে কার্ড এর পরিচয়পত্র নং- ৪০৮৭৮৬০০৭৯০০০১০০, জেলে কার্ড এর ইস্যুর তারিখ-০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের জেলে কার্ডের ক্রমিক নং-১১২, রেজি. নং- ৩৮২৫৫৯। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম তাকে চাল দিতে নানাবিধ তাল-বাহানা সৃষ্টি করে সময় ক্ষেপন করেও অন্যদের চাল দিলেও ফজলুল হক তার বরাদ্দকৃত প্রাপ্য চাল থেকে বঞ্চিত হন।

২৫ জুন ফজলুল হক শ্যামনগর উপজেলা মৎস্য অফিসে এসে তার জেলে কার্ডের চাউলের বরাদ্দের সত্যতা পেলেও তিনি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চাল পাননি। ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে একই ওয়ার্ডের আব্দুস সবুর নামীয় এক হত দরিদ্রকে ৪০ দিনের কর্ম সৃজনের কাজের ৩৩ দিন কাজ করেও তিনি কোন পারিশ্রমিক পাননি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম জানান, তার নামে চাল বরাদ্দ আছে সত্য, জেলে কার্ডের চাউলের বরাদ্দের অন্যদের চাল দেওয়া হলেও সঙ্গত কারণে ফজলুল হক সরদার কে চাল দেওয়া হয়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version