পারুলিয়া (দেবহাটা) প্রতিনিধি : দেবহাটা পারুলিায়াতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ নেশাগ্রস্ত স্বামী তাকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় তার স্বামীকে আটক করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার পারুলিয়া কাশেম পার্ক এলাকায়।
নিহত গৃহবধুর পিতা ও প্রতিবেশীরা জানায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ঢালিপড়া গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের কন্যা রুবিনা খাতুনের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় পারুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র বাবুরালীর সাথে। বিয়ের পরে দুইটি সন্তান হয় তাদের। কিন্ত স্বামী বাবুর আলী মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে অশান্তি লেগে থাকত প্রায়ই।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ওই দুই সন্তানের জননী হাতে পায় মাতৃত্ব কালীন ভাতার চেক। শুক্রবার ভোর বেলা এই চেকের বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি। এই সময়ের মধ্যে মারা যায় ফরিদা। পরে সকালে স্বামী সব জায়গায় প্রচার দেয় উচ্চ রক্তচাপে সে মারা গেছে। এ সময় বাবুরালী শশুর বাড়িতেও খবর দেয়, তার স্ত্রী উচ্চ রক্তচাপে মারা গেছে। তখন দুই সন্তানের জননী রুবীনা বাবার বাড়ি থেকে সবাই পারুলিয়া কাশেম পার্ক সংলগ্ন বাবুরালীর বাড়িতে চলে আসে। এ সময় তারা তাদের কন্যা রুবিনার গলায় দাগ এবং ঘরের মধ্যে নিচু একটি বাঁশের আড়ায় ঝুলন্ত ওড়না দেখতে পায় ।
বিষয়টি দেখে তাদের সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে তার স্বামী বাবুরালীকে প্রাথমিক গ্রেফতার করে এবং নিহত রুবিনার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় পাঠায় ।
এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত উজ্বল কুমার মৈত্র জানান, তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।