Site icon suprovatsatkhira.com

শ্রীউলার হাজরাখালি ভেড়ী বাঁধে ভয়াবহ ফাঁটল

শ্রীউলা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোন ঘুর্ণিঝড় আম্পান কারণে নদীর পানি ১০ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালিতে পাউবো’র ভেড়ীবাঁধে ভয়াবহ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভেড়ি বাঁধের প্রায় ২শ’ হাতেরও বেশি জায়গা জুড়ে ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেয়ায় নদী ভাঙন হয়ে যেকোন সময় খোলপেটুয়া নদীর পানিতে এলাকা প্লাবিত হতে পারে বলে শঙ্কায় আছে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়নের মাড়িয়ালা ও হাজরাখালি গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভেড়ী বাঁধের অবস্থা অনেক আগে থেকেই খারাপ ছিল। বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে থেকে প্রায় প্রতি বছরই এলাকাবাসীর চরম ভয়ে ভয়ে সময় কাটাতে হয়। কখন বাধ ভেঙে পানিতে সবকিছু একাকার হয়ে যায় সেই দুশ্চিন্তায়। ইতিমধ্যে কয়েকবার বাঁধটি ভেঙে এলাকার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। বাঁধটি নিয়ে টেকসই কাজ না করায় বাঁধ নিয়ে চিন্তার শেষ হচ্ছে না।

এলাকাবাসী আরও জানায়, গত অমাবর্ষা গণে (বুধবার সকালে) বাঁধের প্রায় ২০০ হাতের মতো এলাকার বড় অংশ নদী গর্ভে চলে যায়। স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ বাঁধ রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়ে কোন রকমে বাঁধটি আটকিয়ে রাখলেও কতক্ষণ টিকে থাকবে তা নিয়ে শংসয় বিরাজ করছে জনমনে।

বাঁধ রক্ষা করতে না পারলে হাজরাখালী, মাড়িয়ালা, কলিমাখালী, বকচর, নাকতাড়া, লাঙ্গলদাড়িয়া, কলিমাখালিসহ বহু গ্রামের ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘেরসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, ইউপি সদস্য ইয়াছিন আলির নেতৃত্বে মঙ্গলবার এলাকার মানুষদের নিয়ে বাঁশ, গাছের ডাল ও মাটির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করান হবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বাঁধের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরুন চক্রবতী ও শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, আজ বাঁধের কাজ যদি শেষ না করতে পারি তাহলে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। বাঁধের অবস্থা এখনো ভয়াবহ। দ্রæত বাঁধটি রক্ষায় বড় ধরনের কাজ না করা হলে বর্ষা মৌসুমে শেষ রক্ষা সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version