সুমন কর্মকার, মাগুরা (তালা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা তালা মাগুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী নায়েব আব্দুল জলিল এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি কোন অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করেননি বলে জানান। করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার কার্যক্রম যাচাই বাচাইয়ের নাম করে তিনি এ ঘুস গ্রহণ করেছেন বলে এলাকাবাসির দাবি।
সরজমিনে গিয়ে ১২ মে ঘটনার বিবরনে জানা যায়, করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার জন্য অসহায় মানুষের আর্থিকভাবে সাহয্যের জন্য তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তালিকা সঠিকভাবে নিরুপন করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য তালা উপজেলা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
সেই ধারাবাহিকতায় তালা মাগুরা ৯ নং ওয়ার্ডে ররুনাথপুর গ্রামে তদন্তকরার ভার পড়ে তালা মুড়াখুলিয়া গ্রামের শেখ তায়েজুল ইসলামের পুত্র মাগুরার সহকারী নায়েব আব্দুল জলিল এর উপর। নায়েব আব্দুল জলিল সেই সুযোগে সরকারী সহায়তার বয়স্কভাতা,বিধবাভাতা, ভিজিটিকার্ড, ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাউল ক্রয় এর কার্ডসহ যে সকল পরিবার ভাতা পায় তাদের তদন্তকরার নাম করে একাধিক মানুষের নিকট হতে ১ হতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগন তাকে আটক করে রাখে।
রগুনাথপুর গ্রামের বেলায়েত গাজীর স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬০) বলেন, আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার বিকট হতে ১ হাজার টাকা নেয়। একই এলাকার মৃত শামসু শেখ এর পুত্র রাজু শেখ (৩৩) বলেন, নায়েব জলির তালিকা হতে নাম কেটে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নিয়েছে। রগুনাথপুরের গফুর বলেন, নায়েব জলিল আমার নামে কার্ড করে দেবে বলে ১ হাজার টাকা এবং লিচু নিয়েছে।
এ বিষয়ে রগুনাথপুর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেম্বর ইয়াছিন শেথ বলেন, নায়েব জলিল কার্ড দেয়ার নাম করে যে, টাকা নিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা। এলাকা হতে টাকা নেওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করে মারধোর করতে যায়। আমি সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেনকে জানাই।
মাগুরা ৭.৮.৯ ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রেহেনা বেগম জানায় ঘটনা সত্য। শাহিদা বেগমের কাছে নায়েব জলিল টাকা চাইলে শাহিদা বেগম আমার কাছ থেকে ধার দিয়ে তার পরে নায়েব জলিলকে দেয়। তিনি আরও বলেন, নায়েব জলির এর সাথে আরও ছিলেন এলাকার জাহানআলী মোড়লের পুত্র আকবর আলী মোড়ল এবং মাগুরা মুক্তিযোদ্ধা কৃঞ্চপদ বিশ্বাসের পুত্র প্রদীপ বিশ্বাস।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান গনেষ চন্দ্র বলেন, ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য। সহকারী নায়েব মানুষের নিকট হতে কার্ডের যাচাই বাচাই এবং মানবিক সাহায্য দেওয়ার নাম করে টাকা গ্রহন করে। এ সময় এলাকার লোকজন তাকে আটক করলে পরিস্থিতি খারাবের কথা ভেবে মেম্বর ইয়াছিন শেখকে নায়েব জলিলকে উদ্ধার করে আমার কাছে আনতে বলি।
এ বিষয়ে সহকারী নায়েব মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিষটির সাথে আমি জড়িত না। ইউপি মেম্বর সব জানেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সহকারী নায়েব জলিল এর সম্পর্কে আমি শুনেছি। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আপনারা অতিদ্রæত সেটা জানতে পারবেন।