Site icon suprovatsatkhira.com

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ঝুঁকি বাড়িয়েছে সড়কের পাশের মরা গাছ

মীর খায়রুল আলম : করোনা আতঙ্কের মধ্যে নতুন আতঙ্ক ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহা-সড়কের দু-পাশের অসংখ্য মরা গাছ। যার বিভিন্ন অংশ প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ছে সড়কে। কখনো আবার পথচারীদের উপর। আর এসব মরা গাছের নীচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই সড়ক পথে চলাচল করছে পথচারী ও হাজার হাজার যানবাহন।

প্রায় সময় শুকনো ডাল ভেঙে দুর্ঘটনায় কবলিত হচ্ছে অনেকেই। বড় ধরনের দুর্ঘটনার পূর্বেই গাছগুলোকে কেটে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সড়কের পথচারীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহা-সড়কের দু-পাশে দীর্ঘদিন ধরে শুকিয়ে থাকা গাছগুলো কর্তৃপক্ষ অপসারণের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পথচারী ও সড়কে যানবাহন চালকদের আতঙ্কে চলাচল করতে হচ্ছে।

কোন কোন জায়গায় মরা গাছের শুকনো ডাল ভেঙে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। যা চলতি মৌসুমের জন্য খুবই বিপদজনক। মচকে থাকা শুকনো ডালগুলো যেকোনো মুহ‚র্তে নীচে পড়ে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এমনকি বেশ কিছু গাছ সড়কের উপরে এমনভাবে হেলে থাকতে দেখা গেছে।

সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের পুষ্পকাটি, কুলিয়া, পারুলিয়া, সখিপুর, ডেল্টা, উপজেলা হাসপাতাল সম্মুখে, সখিপুর কলেজ গেট সংলগ্ন, গাজীরহাট বাজার হাদিপুর, আস্কারপুর সহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার দু’পাশে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মৃত অথবা মৃতপ্রায় গাছগুলো শুকিয়ে রয়েছে। গাছগুলো মরে শুকিয়ে থাকায় সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলেই ভেঙ্গে পড়ে সড়কের উপরে, এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের।

ফলে সড়কে যানবাহন, সড়কের পাশে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ চলাচলকারী পথচারীরা চলছে আতঙ্কে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে সমাধানের ব্যাপারে বার বার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও লিখিত আবেদন দিয়েও কোন প্রকার অগ্রগতি হয়নি।

সড়কের উপর এমন মরা ও শুকনো গাছগুলো দ্রæত কেটে ফেলা প্রয়োজন। না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে গাছগুলো রাস্তায় ভেঙে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে জন দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version