Site icon suprovatsatkhira.com

কলারোয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ভেঙে গেছে বিপুল গাছ গাছালী, আম কাাঁঠালসহ কৃষির ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি

মেহজাবিন সুলতানা: সুপার সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় আম্পানে কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এলাকাঘুরে দেখা গেছে, চন্দনপুর, সোনবাড়িয়া, হিজলদী, গয়ড়া, সরসকাটি, এলাকায় রাস্তার উপর বড় বড় গাছ গাছালি ভেঙে যোগাযোত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে অংখ্য কাঁচা ও আধা-পাকা বাড়ি ঘর বিধ্বস্থ হয়েছে। পানের বরজ, আমবাগান, ফসলের ক্ষেতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাঠে কেটে রাখা ধানও ঝড়ের সাথে বৃষ্টি হওয়ায় পানিতে ডুবে গেছে। কয়েক হাজার ফলজ ও বনজ বৃক্ষ উপড়ে ও ভেঙে পড়েছে।

ছোট বড় গাছ গাছালি, উপড়ে পড়েছে রাস্তা ও বাসা বাড়ির উপরে পড়ায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে অনেকে। রাস্তায় চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। জয়নগর ইউনিয়নের পান চাষি মহিয়ার সানা জানান, ‘ঝড়ে আমার ৪ কাউন বরজ পড়ে যাওয়ায় ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। এছাড়াও আমাদের প্রায় এলাকায় ২৫ কাউন বরজ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান’।

কলারোয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহিম জানান, ‘ঝড়ে আমার দোকানের চাল উড়ে গেছে। বৃষ্টিতে সব মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমি এখন কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না’।

তিনি আরও জানান, ‘বাজারে আরো কয়েক জনের দোকান একেবারে নষ্ট হয়ে হয়ে গেছে। তারাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি অনেকের ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে’। ঝড়ের রাত থেকে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন। বলতে গেলে পৌর সদর ছাড়া ১২ টি উপজেলার সব স্থানই অন্ধকারে। বিদুৎতের তার ছিড়ে ও খঁটি ভেঙে পড়ায় এ বিদ্যুৎহীন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্টানের টিনের চাল। সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতি হয়েছে অর্ধশত স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা।
আম চাষীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কবলে পড়ে গাছের প্রায় ৮০ ভাগ আম ঝরে পড়েছে। এসব আম কেউ কিনতেও চাইছে না।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version