ডেস্ক রিপোর্ট : যশোরের মনিরামপুরে ইউপি চেয়রাম্যান ও মেম্বর কর্তৃক রাইচমিল, গরুসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ ছিনিয়ে নিয়ে মালিককে তাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্যামনগর উপজেলার আবাদচন্ডিপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান গাজীর পুত্র আব্দুল করিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে যশোর জেলার মনিরামপুর থানার কাশেমপুর গ্রামের শিমু নামক মহিলার কাছ থেকে রাইচমিল চাতাল ভাড়া নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম। সেখানে আমার ৩টি গরু, ৪টি ছাগল, অসংখ্যা হাঁস মুরগি ছিলো। আমার প্রতিটি গরু দৈনিক ১২/১৪ থেকে লিটার দুধ দিতো। কিন্তু গত ৮ মে ব্যবসায়ীক তাগেদা করার জন্য আমি কুষ্টিয়া যায়।
সেখান থেকে ফিরে আসার পূর্বে স্থানীয়রা আমাকে জানান স্থানীয় রহিতা ইউপি চেয়ারম্যান আনছার আলী সরদার, ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর আমিনুর হোসেন শিল্পী, মোশারাফ হোসেন মোড়লের পুত্র তৌফিক মোড়ল, ইছাক মোড়লের পুত্র মোক্তার মোড়ল, রাজ্জাক দপ্তরির পুত্র মতিয়ার রহমান, এজাহার আলী সরদারেরপুত্র নুনু সহ ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার রাইচমিলসহ, গরু, ছাগল, হাঁস মুরগি এবং আমার ব্যবহার্য আসবাবপত্র দখল করে নেয়। সবমিলিয়ে প্রায় ৮/১০লক্ষ টাকার মালামাল সেখানে রয়েছে। দ
খলের পর তারা আমাকে সেখানে না যাওয়ার জন্য মোবাইলে হুমকি প্রদর্শন করে বলে এবিষয়ে বাড়াবাড়ি করলে খুন, গুম করবে এমনকি পরিবারের সদস্যদের ক্ষয়ক্ষতি করবে। আমি তাদের ভয়ে ভীতু হয়ে ওই রাতে সেখানে না গিয়ে পালিয়ে থাকি এবং গোপনে আমার স্ত্রী সন্তানকে সেখান থেকে নিয়ে আসি।
আমি পরবর্তীতে জানতে পেরেছি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ গরু ছাগল তারা নিজেরাই ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। অথচ উক্ত ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থান থেকে চড়া সুদে আমার ঋণ নেওয়া আছে। বর্তমান সময়ে একেবারে ফিল্মি স্টাইলে উল্লেখিত চেয়ারম্যান ও তার বাহিনী আমার প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। আবার বাড়াবাড়ি করলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
একদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ায় অন্যদিকে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে সবশর্^ হারিয়ে নি.শ^ হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। এছাড়া নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ঝুঁকিও রয়েছে। আমি একজন অসহায় ব্যবসায়ী হিসেবে বর্তমানে তাদের ভয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি।
উল্লেখিত চেয়ারম্যান আনছার আলী সরদারের বিরুদ্ধে অন্যের টাকা ছিনতাই, লুটপাটসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সে অত্যান্ত প্রভাবশালী এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ার তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
আমি স্থানীয় ছিলাম না এবং অসহায় প্রকৃতির হওয়ায় আজ লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে আমাকে পথে বসিয়ে দিয়েছে।
উক্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আমার সম্পত্তি উদ্ধার এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা ও যশোর পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেণে তিনি।