মেহজাবিন সুলতানা: কলারোয়ার চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী মিমের গালভরা হাসি। ফোকলা দাঁতের হাসি হাসানুর, কবিরুলসহ বেশ কয়েকজনের। শিশুরা বেশ আনন্দিত। এতো হাসি আর আনন্দের কারন জানতে চাইলে ২য় শ্রেনীর ছাত্রী অরিন জানায়, আমরা আজ মেলা (বেশী) করে বিস্কুট পেয়েছি। স্যারেরা আমাদের খুব ভালোবাসেন। আমরা আজ অন্যমাসের তুলনায় অনেক বেশী করে বিস্কুট পেয়েছি। পুষ্টিকর এ বিস্কুট অনেকদিন চলবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি কর্তৃক প্রদত্ত গাইড লাইন প্রতি পালন সাপেক্ষেদারিদ্র পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চলমান ছিল। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিস্কুট পায়নি শিশুরা। এতে করে কাঙ্কিত পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হতে থাকে তারা। শিশুরা তাদের প্রাপ্তি বিস্কুট থেকে যাতে বঞ্চিত না হয় এবং বাড়ি বসে পুষ্টি পেতে পারে সে জন্য গত কাল বিস্কুল বিতরণ করা হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রী অবিভাবকরা সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: জাহিদুল আলম বলেন, অত্র বিদ্যালয়ের ৩ শ’ ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে সরকারিভাবে বিস্কুট দেয়া হয়েছে। করোনার সময় পুষ্টিকর এসব বিস্কুট শিক্ষার্থীদের পুষ্টিহীনতা থেকে রক্ষা করবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক চৈতালি মুখার্জি, নাসরিন সুলতানা, শায়লা শারমিন, মেহজাবিন সুলতানা ও শিক্ষার্থী অবিভাবকবৃন্দ।