Site icon suprovatsatkhira.com

খেশরায় খাদ্য সংকটে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো

রিয়াদ হোসেন : মহামারি করোনায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পুরো দুনিয়া। বাংলাদেশেও করোনায়  আক্রান্তের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো।

সরকার ঘোষিত হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো। লোকলজ্জায় চাওয়ার অভ্যাস না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায় তারা আজ বসে আছে ত্রাণের আশায়। কখন কে এসে ত্রাণ দেবে তারপর পেটে যাবে দু’মুঠো ভাত।

তালা উপজেলার খেশরা ডুমুরিয়ার চা বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, ‘আজ প্রায় ১৫ দিনের মতো দোকান বন্ধ। ঘরে যে খাবার ছিল তা প্রায় শেষের পথে। দুই একদিন পর পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। এ পর্যন্ত কোন অনুদান বা ত্রাণ আমি পায়নি’।

একই ইউনিয়নের দিনমজুর কলাগাছির স্বপন দাশ বলেন, ‘পরের ক্ষেতে কাজ করে মাটি কেটে সংসার চালাই। দিন শেষে যা মজুরি পাই তাই দিয়ে চাল ডাল কিনে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে এই কয়দিন ধরে কেউ কাজেও নিচ্ছে না। সরকারিভাবে ৭ কেজি চাউল পেয়েছিলাম তাতে আর ক’দিন বা চলে। ঘরের চাইল শেষ কাছে টাকাও নেই যে চাউল কিনে নিয়ে যাব’।

ইউনিয়নের একাধিক দিনমজুর শ্রেণির ব্যক্তিরা জানায়, ‘সরকারি, বে-সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণ চলছে। যার জন্য প্রকৃত খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ত্রাণের সুষ্ঠ বন্টন হচ্ছে না’।

তবে খেশরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. বিল্লাল হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। ওই ইউপি সদস্য জানান, ‘সরকারিভাবে ত্রাণ পর্যাপ্ত আসছে না। যে বরাদ্দ আসছে তা দিয়ে সকলের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে আমরা প্রকৃত অসহায় দরিদ্রের কাছে সরকারের এই স্বল্প বরাদ্দের অনুদান পৌঁছে দিচ্ছি। এতে কোন দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি হচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি নিরপেক্ষ ভাবে গরিব মানুষের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ আমানত পৌঁছে দিতে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version