কলারোয়া প্রতিনিধি : কলারোয়ায় প্রেমিকার পরিবারের লোকজন কর্তৃক কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ৫ জনকে। এ ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত কলেজ ছাত্র জনির বাবা উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে জনির মৃত্যু হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, প্রেমিকা ময়না খাতুনের মা আসমা খাতুন, দাদা রিয়াজ উদ্দিন ও চাচা ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল। তবে, এ ঘটনায় ময়নার বাবা কামরুজ্জামান ও চাচা ওহিদুজ্জামান পিন্টুসহ বাকি আসামিরা পলাতক আছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে’। উল্লেখ্য, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২য় বর্ষের ছাত্র পাইকপাড়া গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে তুষার ওরফে জনির সাথে একই গ্রামের আদম ব্যাপারী নামে পরিচিত কামরুল ইসলামের দশম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে ময়না খাতুনের (১৬) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরই জের ধরে বুধবার গভীর রাতে ময়নার বাবা কামরুজ্জামান ও চাচা ওয়াহিদুজ্জামান কৌশলে ময়নাকে দিয়ে জনিকে মোবাইলে ফোনে তাদের বাড়িতে ডেকে এনে মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে জনি জ্ঞান হারালে তারা তাকে মৃত ভেবে বাড়ির বাইরে ফেলে রেখে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থা তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।