কলারোয়া প্রতিনিধি : দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি, দেশে কোথায় ঘোষিত লকডাউন আবার কোথায় অঘোষিত লকডাউন করা হয়েছে। তবে, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে পিছিঁয়ে নেই কলারোয়া উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম (প্রিন্টও ইলোট্রনিক) কর্মীরা। বস্তুনিষ্ট সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষদের সচেতনতার কাজ করছেন। তবে, দেশের প্রতিটি দুর্যোগের ন্যায় করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায়ও সরকারের সকল বিভিন্ন দিক নির্দেশনা গ্রামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে তুলে ধরলেও কলারোয়া উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় ব্যক্তিদের সাংবাদিক বিদ্বেষী মনোভাবের কারণে অনেকে অদম্য মনোবল হারিয়ে ফেলছে এমন অভিযোগ সাংবাদিক সংগঠনগুলির।
জানাগেছে, গত শুক্রবার (১০ এপ্রিল) কলারোয়া ফুটবল মাঠে টি.সি.বি’র পণ্য বিক্রয়ের সময় তথ্য সংগ্রহ করতে যেয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও জাতীয় পত্রিকার দুই সাংবাদিকে কলারোয়া থানার এক এসআই ও ২জন এএসআই তাদেরকে শারিরীক ভাবে লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটে। একই সময় সংবাদপত্র এজেন্ট বাবলু পত্র বিতানের প্রোপ্রাইটার রেজাউল ইসলামকে (শারিরীক প্রতিবন্ধী) টি.সি.বি’র পন্য থাকা সত্বেও তাকে প্রদানে বাধাাঁ দেয়া হয়। পরে তার অসহায়ত্ব দেখে অন্য এক ব্যাক্তি তার পণ্য ক্রয় করে দেন। এছাড়া প্রশাসনের কিছু ব্যাক্তি ও কলারেয়া পৌর কতৃপক্ষ সংবাদ কর্মিদের ত্রান সংশ্লিষ্ঠ সঠিক তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ ও ফোন রিসিভ না করা এবং বিভিন্ন ঘটনায় লাঞ্চনার শিকার হয়ে দৃড় মনোবল হারিয়ে অনেকে সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে এসব ঘটনায় কলারোয়া সাংবাদিক সংগঠনগুলির নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দেশে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সরকারের নির্দেশ মেনে বাড়ীতে অবস্থান করছেন, ত্রান নিয়ে কোন অনিয়ম হলে সে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করছেন। এছাড়া গণমাধ্যম কর্মীরা নিজেদেরকে অরক্ষিত রেখে করোনা পরিস্থিতিসহ সমাজের বিভিন্ন ধরনের খবর ঘরে থাকা ব্যক্তিদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। যদিও সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের কোন প্রণোদনা ছাড়াই নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। অবিলম্বে সাংবাদিক নেতারা এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। একই সাথে সংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনীর-উল-গীয়াস জানান, টিসিবির পণ্য বিতরনের সময় সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার সময় সাংবাদিক ভাইদের সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিলো সেটা আমি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে থাকা সাংবাদিক ভাইদের সাথে বিষয়টি সামাধান করে দেয়া হয়েছে। তিনি দেশের এ দুর্যোগে সাংবাদিক ভাইদের কার্যক্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
কলারোয়ার গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে প্রশাসনের বিরুপ আচরণ: সাংবাদিক মহলের ক্ষোভ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/