নিজস্ব প্রতিনিধ: সাতক্ষীরায় এই প্রথম এক মেডিকেল টেকনোশিয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাড়িসহ তার আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে এবং টানানো হয়েছে লাল পতাকা বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি আরো জানান, একই বাড়িতে বসবাসকারী তার বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আক্রান্ত ব্যক্তি শহরের উত্তর কাটিয়া এলাকার বাসীন্দা যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোশিয়ান।
তিনি প্রতিদিন সাতক্ষীরা থেকে শার্শায় গিয়ে অফিস করতেন। সেখানে তিনি করোনার উপসর্গ নিয়ে যশোর পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করান। আজ সকালে তার মেডিকেল রিপোর্ট পজেটিভ আসে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরার স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবরে জেলা শহরের সাধরন মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল তার অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে জানান,
তিনি করোনা আক্রান্ত যশোরের শার্শা উপজেলা হাসপাতালে চাকরি করতেন এবং সাতক্ষীরা থেকে যাতায়াত করতেন। গতকাল যশোরে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়ে সাতক্ষীরা চলে আসেন। আজ সকালে তার করোনা পজিটিভ হয়েছে মর্মে সিভিল সার্জন আমাকে জানিয়েছন। আমি আক্রান্তের সাথে কথা বলেছি। সে যেন মানসিকভাবে চাঙা থাকে দুশ্চিন্তা না করে বা নিজেকে দোষারোপ না করে সে পরামর্শ দিয়েছি। বলেছি তোমার পাশে আছি। ইতোমধ্যে ঐ বাড়িসহ তার সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে।
তিনি জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, এ সংবাদে আতঙ্কিত না হয়ে অধিক সতর্ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। মনে রাখতে হবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আজ আক্রান্ত বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা আক্রান্ত হয়েছে। তবে এটা ঠিক আমরা সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা নেওয়ার পরও অসচেতনতার জন্য আজ আমরা এমন সংবাদের মুখোমুখি। আমাদেরকে আরো সমন্বিতভাবে কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা মোকাবিলা করতে হবে। আমি সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।
আইডিসিআর কি বলে এবং কিভাবে চিহ্নিত করে তা দেখে আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপনাদের অবহিত করবো।সকলে ঘরে থাকুন। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাবেন না।