নিজস্ব প্রতিনিধি : ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭৫৪ জনসংখ্যার আশাশুনিতে মোট ৬২ হাজার ৩৭টি পরিবারের জন্য ত্রাণ হিসেবে সরকারি বরাদ্দ এসেছে ৭২ মে.টন চাল ও ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা। এছাড়া শিশু খাদ্যের জন্য বরাদ্দ এসেছে ৪১ হাজার টাকা। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি খাদ্যসামগ্রী অপ্রতুল হওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষসহ মধ্যবিত্তরা পড়েছে বিপাকে। এরমধ্যে ত্রাণ বিতরণে স্বজনপ্রীতির অভিযোগতো আছেই।
আবার বিভিন্ন বাহানায় দোকানীরা মালামালের দাম বৃদ্ধি করায় নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে ভবিষ্যতের ভাবনা ভেবে হতাশা ও অস্থিরতা বাড়ছে। প্রশাসনের গাড়ী ঢুকলে এক রকম দাম চলে গেলে ভিন্ন দাম। আরও বেশি ত্রাণ ও বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নিয়ন্ত্রণে নিতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ জনগন।
সরকারি তথ্যমতে এ পর্যন্ত আসা সরকারি চাল জনসংখ্যার ভিত্তিতে ২৮টি গ্রামের শোভনালী ইউনিয়নে ৬২৫ টি পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার ২৫০ কেজি, ২২ গ্রামের বুধহাটা ইউনিয়নে ৭০০ পরিবারের মধ্যে ৭ হাজার কেজি, ২১ গ্রামের কুল্যা ইউনিয়নে ৬০০ পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার কেজি, ১০ গ্রামের দরগাহপুর ইউনিয়নে ৪৩০ পরিবারের মধ্যে ৪ হাজার ৩০০ কেজি, ২৪ গ্রামের বড়দল ইউনিয়নে ৬২৫ টি পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার ২৫০ কেজি, ২৫ গ্রামের আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ১ হাজার ১৯০ টি পরিবারের মধ্যে ১১ হাজার ৯০০ কেজি, ২২ গ্রামের শ্রীউলা ইউনিয়নে ৬৫০ টি পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ কেজি, ২৪ গ্রামের খাজরা ইউনিয়নে ৬০০ টি পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার কেজি, ২৪ গ্রামের আনুলিয়া ইউনিয়নে ৬৫০ টি পরিবারের মধ্যে ৬ হাজার ৫০০ কেজি, ১৯ গ্রামের প্রতাপনগর ইউনিয়নে ৭২৫ টি পরিবারের মধ্যে ৭ হাজার ২৫০ কেজি ও ২২ গ্রামের কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪০৫ টি পরিবার পেয়েছে ৪ হাজার ৫ কেজি চাউল।
১২-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের অনুকুলে উপ-বরাদ্দপ্রাপ্ত ২৪ মে.টন চাউল বিভাজনসহ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকার আলু, সাবান, ডাল, তেল, লবন ক্রয় পূর্বক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ৪১ হাজার টাকার শিশুখাদ্য ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে বলে ইউএনও অফিস সূত্রে জানা গেছে।
প্রয়োজনের তুলনায় এ খাদ্যসামগ্রী খুব কম বলে আরও বরাদ্দ দিতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন।
উপজেলায় নিবন্ধিত প্রতিবন্ধী আছে ৪ হাজার ২৮৩ জন। এরমধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন ২ হাজার ১৩৩ জন, বয়স্কভাতা পাচ্ছেন ৮ হাজার ৪০৪জন, বিশেষ বয়স্ক ভাতা (অনগ্রসর জাতি) পাচ্ছে ৪১ জন, বিধবা ভাতা পাচ্ছেন ৩ হাজার ৬৮২ জন, ভিজিডি কার্ডধারীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৯ জন, ভিজিএফ কার্ডধারীর সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫৫৮ জন, এছাড়া ১০ টাকা কেজি দরে চাউল পাচ্ছেন ২১ হাজার ৬৯১ জন।
এসবের মধ্যে মুখ ফুটে বলতে বা কারও কাছে হাত পাততে না পারায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি রয়েছে চরম হতাশায়। করোনা মহামারীর মধ্যে বাইরে যেতে না পারায় খাদ্য ও পানি সংকটে পড়া শতশত মানুষ ভ্রাম্যমান বাজার ব্যবস্থা ও পানি সংকট মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।