Site icon suprovatsatkhira.com

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোরতায় কমছে জনসমাগম

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরের প্রায় সব রাস্তা-ঘাট একেবারে ফাঁকা। নেই লোকজন, নেই কোনো যানবাহন। পথচারীদের সংখ্যাও হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। বৃহস্পতিবার (০২এপ্রিল) সকাল থেকেই কঠোর অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সেনাসদস্যদের দেখা গেছে একাধিক স্থানে মাইকিং করে কঠোর বার্তা দিতে।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম বার) ফেসবুকে রীতিমতো ঘোষণা দিয়েই মাঠে নেমেছেন। এরপর গতকাল সকাল থেকেই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা হেলমেট পরে লাঠি হাতে সটান রাস্তায়। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, পিকআপ দেখলেই পিছু ধাওয়া। অনেককে মৃদু আঘাত করতে দেখা গেছে। এসব দেখে বাকীরা সটকে পড়েছেন শহরের রাস্তাগুলো থেকে। এসব দেকে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকা দোকানিরাও শার্টার টেনে চুপটি মেরে রইলেন। একই চিত্র দেখা গেছে শহরের মোড়ে মোড়ে।
শুধু সাতক্ষীরা শহর নয়, জেলার সকল উপজেলাতেও চলছে পুলিশের একই কার্যক্রম। প্রধান সড়কগুলো একাধিক স্থানে পুলিশের টহল টিমকে কাজ করতে দেখা গেছে। সকল থানার অফিসার্স ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী রাস্তায় নেমেছেন। তাদের একটাই লক্ষ্য করোনার হাত থেকে বাঁচাতে মানুষদের ঘরে ফেরানো।

সবচেয়ে বড় বিষয় পুলিশের এই কঠোরতাকে সমর্থন করছেন জেলার সচেতন নাগরিকরা। তারা বলছেন, এটি আরো আগে দরকার ছিলো। বাঙালি ভালো কথা কানে নেয় না। করোনা ভাইরাসে সারা বিশ্ব যেখানে মহামারিতে আক্রান্ত। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন। এসব ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। কোটি কোটি মানুষ যেখানে গৃহবন্দি। সেখানে বাংলাদেশের মানুষ কেনো এতো অসচেতন। কেনো রাস্তাঘাটে ভিড় করে পরিবেশ নষ্ট করছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে বলেন, মানুষকে ঘরে রাখার জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি ১শ টি টিম একযোগে মাঠে নেমেছে। জরিমানা প্রয়োজনে আটক করা হবে। এছাড়া নিয়মিত পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে জনসাধারণ যেন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসেন। লিফলেট বিতরণ করে সচেতনতাবৃদ্ধির কাজ করা হচ্ছে। অসহায় দিনমজুরদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এরপরও কারণ ছাড়াই জনগণ রাস্তায় নেমে পরিবেশ নষ্ট করে প্রাণঘাতি করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। যত্রতত্র দোকানপাট খুলে সেখানে আড্ডার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। যে কারণে পুলিশ কঠোর হতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন রক্ষায় সবসময় পুলিশ জনগণের পাশে ছিলো- এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এরজন্য যা কিছু করার পুলিশ করবে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি যেসকল যান বাহন চলাচল করার অনুমতি রয়েছে সেগুলো চলবে। নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র সেইসবই দোকান-পাট, প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। এর বাইরে কোনো কিছু মেনে নেওয়া হবে না।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version