ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরায় করোনার উপসর্গ নিয়ে খায়রুল ইসসলাম (৫৫) নামে এক ভাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভোমরা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) ভোর রাতে নিজ বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। তবে মৃত্যুকালে তিনি সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানায়, ‘মৃত খায়রুল ইসলাম চট্টগ্রামে একটি ইটের ভাটায় কাজ করতো। গত ২৬ এপ্রিল সে বাড়ি আসে। এরপর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হয়। এরপরও তিনি মাঝে মাঝে এলাকায় ঘোরাঘুরি, ধান কাটাসহ চৌবাড়িয়া বৈচনা সম্মিলিত জামে মসজিদে নামাজ পড়তেন।
নিহতের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ‘তার পিতা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। তবে দীর্ঘদিন থেকে তার স্বাভাবিক সর্দি কাশির সমস্যা ছিল।
এ বিষয়ে ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, ‘খাইরুল ইসলাম কিছুদিন আগে ভাটা থেকে বাড়ি আসায় আমরা তার বাড়ি লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন করে দেই। তবে সে তখন সুস্থ ছিল। নিহতের পরিবার থেকে জানলাম গতকাল একবার পাতলা পায়খানা হয়েছিল। এরপর বাড়ির উঠানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরিবারের দাবি খায়রুল ইসলাম স্ট্রোক করে মারা গেছে’।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত জানান, ‘আমরা মৃত্যুর খবর পেয়েছি। নিহতের নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছে’।