মার্চ ২৯, ২০২০
ভারতে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গোটা ভারত লকডাউন। ধীরে ধীরে অতি উৎসাহমুখর মানুষ ঘরমুখো হচ্ছেন। প্রয়োজন ছাড়া খুব একটা বের হচ্ছেন না কেউ! কিন্তু তাও কোনোভাবে ভাইরাসমুক্ত হচ্ছে না দেশ। কমছে না আক্রান্তের সংখ্যা। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। রোববার (২৯ মার্চ) পর্যন্ত ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ২৫জনের। আর পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮, মৃত এক। এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। সেখানে মোট ১৮৫ জন করোনায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। ওই রাজ্যে মৃত্যুও হয়েছে ছ’জনের। তবে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ২৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু এবং সুস্থ হয়ে ওঠা সব দিক থেকেই প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সংক্রমণের সংখ্যার দিক থেকে মহারাষ্ট্রের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে কেরালা। সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা এই মুহূর্তে ১৮২ জন। তৃতীয় স্থানে থাকলেও, কর্নাটকে এখনও সংখ্যাটা অবশ্য দুই অঙ্কেই আটকে রয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। আর মধ্যপ্রদেশে ২ জন এবং তামিলনাড়ু, বিহার, পাঞ্জাব, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীর ও হিমাচল প্রদেশে একজন করে ব্যক্তি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া কর্ণাটকে ৫৫ জন, রাজস্থানে ৪৮, তেলেঙ্গানায় ৪৮, গুজরাতে ৪৫, উত্তরপ্রদেশে ৪৫, দিল্লিতে ৩৯ জন মারণ ওই ভাইরাসে আক্রান্ত। পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, লাদাখ সহ দেশের প্রায় সব রাজ্যেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে আশার কথা একটাই যে, ৭৮ জন এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিন সপ্তাহের লকডাউন জারি করেছেন। এ পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত সঙ্কটের মুখে বিশ্বঅর্থনীতি তো বটেই, নাস্তানুবাদ ভারতের অর্থনীতিও। দিনমজুরেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সঙ্গে সঙ্গেই। কার্যত ধুকতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় ২০২০ সালে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার অর্ধেক হওয়ার আভাস দিল মুডিজ ইনভেস্টর্স সার্ভিসেস। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলতি বছরে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নামতে পারে ২ দশমিক ৫ শতাংশে। যদিও বিশ্বের প্রায় ১৯৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মরণ ভাইরাস করোনা। বিশ্ব অর্থনীতিও ধুকছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতের ওপর। এর মধ্যে দেশটিতে কানাঘুষো চলছে করোনা মোকাবিলায় ১৪ এপ্রিল লকডাউন সময়সীমা বর্ধিত হয়ে ৩০ এপ্রিল হতে পারে। এ রকম ভাবার কারণ, সরকারিভাবে গরিবদের তিন মাসের চাল ডাল ও গ্যাস দেওয়া হবে জানানো হয়েছে। ভারতীয়দের মওকুফ করা হয়েছে তিন মাসের যেকোনো লোনের কিস্তি। এমনকি তিনমাস বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে জমা না দিলেও বাড়তি জরিমানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে দেশটির বিদ্যুৎ বিভাগ। এছাড়া নিত্যপণ্য ও জরুরি পরিষেবাও যাতে বিঘ্ন না হয় সেদিকেও বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। 8,555,396 total views, 6,002 views today |
|
|
|