নাজমুল হক,পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: বিএডিসি কর্মকর্তাদের খাম খেয়ালিপনার কারণে বিএডিসি ডিলারদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে ডিলাররা। জানা গেছে সরকার কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলতে ডিএপি সারে ভুর্তকি প্রদান করে কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে সাত শত টাকা ডিএপি সার যা তৃণমুল পর্যায়ে সরকারের বিরাট সাফল্য বলে মনে করেন কৃষকরা। সরকারের সফলতাকে ধরে রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ডিএপি সারের মুল্য ৭০০টাকা যা আগের তুলনায় অনেক কম। বিএডিসির নিয়োগকৃত একাধিক ডিলাররা জানায় হঠাৎ করে ফেব্রয়ারী মাসের বরাদ্ধকৃত ডিএপি সার তারা উত্তোলন করতে পারেনি। সরকারের কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই তারা এ সার উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তারা বলেন বর্তমান সময় ডিএপি সারের ব্যাপক চাহিদা বিরাজ করছে। বর্তমানে তারা সার উত্তোলন করতে না পেরে নিজেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি সাধারণ কৃষকরা ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে কথা হয় পাটকেলঘাটা বাজারে আল ইমরান এন্টার প্রাইজের ডিলার গাজী হাজিউদ্দীন ও সরসকাটি বাজারে বিকে ট্রেডাসের মালিক ডিলার বিশ্বজিৎ ঘোষের সাথে। তারা জানান কর্মকর্তাদের খাম খেয়ালিপনার কারণে আমরা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। সাথে সাথে সরকারের অর্জিত সাফল্য ব্যাহত হচ্ছে। পাটকেলঘাটার কৃষক আজগার আলী জানায় ১৬ টাকা মুল্যে ড্যাপ কিনতে পেরে আমরা অত্যন্ত খুশি। এ ব্যাপারে কথা হয় সাতক্ষীরা বিএডিসির সহকারী পরিচালক মাহবুব হোসেনের সাথে তিনি জানান মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত যে মাসের বরাদ্ধ সে মাসের মধ্যে উত্তোলন করতে হবে। ডিলারদের জানানোর বিষয় তিনি বলেন আমরা অনেকের সাথে যোগাযোগ করেছি হয়ত দুএকজনের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে জেলায় ১৮০ জন ডিলারের মধ্যে অধিকাংশ ডিলার মাল উত্তোলন করেছে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সারবীজ মনিটারিং কমিটির সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু জানান ডিলারদের টাকা যোগাড় করার সময়টুক তো দিতে হবে। নুন্যতম সময় না পেলে একজন ডিলারের পক্ষে মাল উত্তোলন করা সম্ভব নয়।
বিএডিসি কর্মকর্তাদের খাম খেয়ালিপনার কারণে বিএডিসি ডিলারদের মধ্যে অসন্তোষ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/