পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছায় গ্রাম্য আদালত নিয়ে কটূক্তি ও গ্রাম পুলিশকে গালিগালাজ করার অভিযোগে বিচারক উপযুক্ত আদালতে যাওয়ার আদেশ দেওয়ায় প্রতিপক্ষরা গ্রাম আদালতকে অবমাননা করে ১৩জনের নামে থানায় মামলা করেছে। উক্ত মামলার ভিতরে চেয়ারম্যানকে ইন্ধনদাতা আখ্যায়িত করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পশ্চিম দীঘা মৌজায় কল্লোল মন্ডল ও পিযুষ মন্ডলরা ৬২ বিঘা জমি এওয়াজ সূত্রে ১০ বছর ধরে চিংড়ি চাষ করে আসছে। ২০১৯ সালের এক সালিশি বৈঠকে ২০২০ সালে যার যার জমিতে দখলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলতি বছর পিযুষরা শর্ত ভঙ্গ করলে ৫নং সোলাদানা ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম্য আদালতে ২৪ ফেব্রæয়ারি কল্লোল মন্ডল ১১/২০ মামলা করে। নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে দুইজন প্রতিনিধি সদস্য মনোনীত করার আদেশ দেন। কল্লোল মন্ডল ২জন সদস্য মনোনীত করলেও পিযুষ মন্ডলরা কোন সদস্যের তালিকা জমা দেননি। বরং সে গ্রাম আদালত ও বিচারককে নিয়ে নানাভাবে কটূক্তি করে।
গ্রাম পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বিচার কার্য দ্বিতীয় পক্ষের এ অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গ্রাম আদালতের বিচারক উপযুক্ত আদালতে যাওয়ার জন্য আদেশ দেন। কল্লোল মন্ডল জানান, পিযুষরা আদালতের বিচারক ও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হককে ইন্ধনদাতা উল্লেখ করে ১৩ মার্চ কাল্পনিক ঘের দখলের অভিযোগ তুলে আমি সহ ১৩ জনের নামে পাইকগাছা থানায় মামলা করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান এসএম এনামুল হক জানান, বার বার উভয় পক্ষকে গ্রাম আদালতে নোটিস করে হাজিরার কথা বলা হলেও প্রথম পক্ষ হাজির থাকলেও দ্বিতীয় পক্ষ একবার হাজির হলেও পরে আর কোন দিন হাজির হননি। বরং বিচার কার্য তারা অসহযোগিতা করায় তাদেরকে উপযুক্ত আদালতে যাওয়ার আদেশ প্রদান করি। এদিকে গ্রাম আদালতকে নিয়ে কটূক্তি করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।