নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে ও বাড়িতে অবস্থানকারী দুস্থ মানুষের মাঝে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সাতক্ষীরা শহরের পোস্ট অফিস মোড় থেকে এই কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের আহ্বান জানান।
এ সময় স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বদিউজ্জামানসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সাধারণ খেটে খাওয়া ও দুস্থ মানুষের মাঝে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক লিটার তেল, এক কেজি লবণ ও একটি করে সাবান বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রথম পর্যায়ে জেলাব্যাপী ১১শ’ মানুষের মাঝে এই খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের বিএমএ ভবনে ইনফ্লুয়েঞ্জা কর্নার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধাসহ একটি ফ্লোর প্রস্তুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে করোনা মোকাবেলায় অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডা. আজিজুর রহমান, জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাজী হাবিবুর রহমান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজী আরিফ আহমেদ, চায়না বাংলা হাসপাতালের এমডি এ কে এম আনিছুর রহমান, বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির কর্মকর্তা কামরুজ্জামান রাসেল। সভার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সকলের প্রতি করোনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি সাধারণ জ্বর, সর্দি কাশিতে সাধারণ মানুষ যাতে টেলি মেডিসিন গ্রহণ করতে পারে, সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ফোন নাম্বার গুলো প্রচারের আহ্বান জানান।