বেনাপোল প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের কারণে সোমবার থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বানিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জীবাণু যাতে এক দেশ থেকে অন্য দেশে বিস্তার না করতে পারে সে লক্ষে বেনাপোল বন্দরের সব ধরনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করা হয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দুই দেশের সীমান্ত বাণিজ্য ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত হয়েছে’। পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ‘পেট্রাপোল বন্দরে ট্রাক-জট সৃষ্টি হয়েছে। বন্দরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বন্দরের ট্রাক টার্মিনাল, পেট্রাপোল পার্কিং ও বনগাঁও টার্মিনালে কয়েক শ’ পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল। যেগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে’।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ‘প্রতিদিন পেট্রাপোল বন্দর থেকে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোলে বন্দরে আসে। আবার বেনাপোল দিয়ে ২শ’ থেকে আড়াই শ’ ট্রাক রপ্তানি পণ্য চালান যায় ভারতে। লম্বা ছুটির কারণে বন্দরে পণ্য-জট তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তাই মঙ্গলবার ও বুধবার দ্রæত পণ্য-চালান ডেলিভারি দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য পণ্য খালাসে সরকারি নতুন কোন নির্দেশনা পেলে সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেব’। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট খোলা থাকবে। তবে বিধি নিষেধ থাকায় বিদেশিরা দেশে ঢুকতে পারবেন না। শুধুমাত্র ভারতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরাই আসতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয়রা ফিরতে পারবেন না।
