মার্চ ৩০, ২০২০
“অনলাইনে পড়াশুনা চলছে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুলে”
ডেস্ক রিপোর্ট: ছুটি, তবু ছুটি নয়। ক্লাস চলছে পুরোদমে। ঘড়ি ধরে সময় মেনে ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষকেরা। মন দিয়ে নোট নিচ্ছেন, পড়া বুঝে নিচ্ছেন পড়ুয়ারাও। ফলে লকডাউনেও সিলবাস সময়ে শেষ হওয়ার নিশ্চয়তা মিলছে। পুরো ব্যবস্থাটাই হচ্ছে অনলাইনে। এভাবেই পড়াশুনা চলছে সাতক্ষীরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় জনজীবন হয়ে গেছে স্থবির। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে এর প্রভাব এসে পড়েছে শিক্ষাজীবনেও। বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাজ বন্ধ রেখেছে। তবে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ২০ মার্চ থেকে এই প্রতিষ্ঠান চালু করেছে অনলাইন ভিত্তিক পড়াশুনা। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রত্যেক শ্রেণির সেকশনভিত্তিক অনলাইনে ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। ছাত্র ছাত্রীদদের জন্য রয়েছে প্যানেল আর লগইন করার বিশেষ কোড। এই কোড ব্যবহার করে তারা যাবতীয় সুবিধা নিচ্ছে। এমনকি এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে জানা যাবে কবে কোন ছাত্রের জন্মদিন। সেই দিনে স্কুল কতৃপক্ষ তাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানিয়ে থাকে। ফলে বাড়ীতে বসেই শিক্ষার্থীরা স্কুলের স্বাদ পাচ্ছে। অনলাইন ক্লাস শুরু হওয়ায় এক দিকে যেমন ছাত্রছাত্রীরা খুশি, তেমনই সন্তুষ্ট অভিভাবকেরাও। তাঁরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ওই স্কুলের পরিচালক আলাউদ্দীন ফারুকী প্রিন্স বলেন, “করোনা-ত্রাসের জেরে স্কুল বন্ধ। কবে ফের খুলবে তার ঠিক নেই। এই অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে পড়াশোনা বন্ধ না থাকে, তার জন্য তাদের কথা ভেবেই অনলাইনে পড়াশোনা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হচ্ছে আবার আমাদের শিক্ষকমণ্ডলীদেরও ব্যতিক্রম কর্মে অংশগ্রহণের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেক অভিভাবক আমাদের এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যা আমাদের আরো এরকম বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে উদ্বুদ্ধ করছে। আমরা আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে এবং তাদের স্বপ্ন পূরণের পথে তারা এগিয়ে যাবে।” স্কুলের এক শিক্ষক বলেন, “বাড়িতে থেকে পড়াশুনার মধ্যে থাকলে সময় ভাল কাটছে। সবসময় করোনা-আতঙ্কও তাড়া করছে না। পড়ুয়ারাও পড়াশোনার মধ্যে থাকছে।” ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সায়েমা সানজীদা বলেন, “আচমকা স্কুল ছুটি হওয়ায় সিলেবাস শেষ করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছিলাম। এইসময়ে মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারলাম অনলাইনে আমাদের পড়াশুনা চালু থাকবে। মনটা খুশি হয়ে গেল। এছাড়া এই দীর্ঘ সময়টকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় যে বিষয়েও জানাচ্ছেন। স্যারেরা মোবাইলে খোঁজ নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে বেশ আছি।“ উল্লেখ্য, স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সাতক্ষীরাতে সর্বপ্রথম আইএসও সনদ লাভ করে। 7,405,172 total views, 9,822 views today |
|
|
|