নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পরিবর্তন হয়েছে মানুষের চিন্তাধারা, সচেতন হচ্ছেন সবাই। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর সামাজিক ব্যক্তিদের ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা ইতোমধ্যেই ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে। ২৫ মার্চ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণের নেতৃত্বে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোনোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার প্রথমদিন ঢিলেঢালা চললেও দ্বিতীয় দিনে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছে সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষ। এদিন খুব কম মানুষকে বাইরে বেরোতে দেখা গেছে। তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জেলার কিছু কিছু অঞ্চলে মুদি দোকানগুলোতে দেখা গেছে ব্যতিক্রম সচেতনতা। দোকানের সামনে লাল ফিতার ব্যারিকেড দিয়ে কমপক্ষে ৩ফুট দুরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের পণ্য সরবরাহের চিত্র চোখে পড়ার মতই। আবার কিছু কিছু দোকানে ক্রেতাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। ক্রেতারা দোকানের সামনে গিয়ে হাত ধুয়ে হাতে অ্যান্টিসেপ্টিক লাগিয়ে তারপর লেনদেন করছেন দোকানির সাথে।
স্থানীয় এসব দোকানিরা বলছেন, ব্যাপক প্রচারণার ফলে আমরা এসব পদ্ধতি চালু করতে উৎসাহিত হয়েছি। আমরা সবাই সতর্ক হলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারবে না’।
ক্রেতারা বলছেন, ‘দোকানদারদের এই ব্যতিক্রম সচেতনতা দেখে আমরাও নিজেদের নিরাপদ মনে করছি। তবে আরও সতর্ক হতে হবে আমাদের সবাইকে। আমরা দোকানে এসে দূর থেকে লেনদেন করছি, নির্দিষ্ট বৃত্তের মধ্যে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করছি। শুধু সাতক্ষীরা নয় সারাদেশেই এভাবে সচেতনতা অবলম্বন করে ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারলেই আমরা করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে পারব। সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের দক্ষিণ পাশে রানা-রনি স্টোরে দেখা গেল ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ দোকানি নিরাপদ দুরত্বে থেকে বাঁশের লাঠিতে ঝুড়ি বেধে তাতে করেই মালামাল
কয়েকজন ব্যবসায়িকে দেখা গেছে ক্রেতাদের হাতে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারপর পণ্য তুলে দিচ্ছেন। শহরের থানা মোড়, পাকাপোলের মোড়, এলাকার কয়েকটি ফল, ও ওষুধের দোকানে নিরাপদ দুরত্ব চিহ্নিত করে বৃত্ত একে দেয়া হয়েছে। জেলা শহরের বাইরে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তালা ও শ্যামনগর উপজেলার কয়েকটি বাজারে বিভিন্ন দোকানে সামনে নিরাপদ দুরত্ব চিহ্নিত করে বৃত্ত একে দিয়েছে স্থানীয় কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ দুরত্বে থেকে বেচা-কেনা করার জন্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে দোকানের সামনে নিরাপত্তা চিহ্ন একে দিয়েছেন। এছাড়া জন সচেতনতার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সব সময় মাঠে আছে। সেনা সদস্যরাও এসেছেন জনসচেতনতা লক্ষ্যে তারাও নানা প্রস্তুতি নিচ্ছে। গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সবাই একসাথে কাজ করছেন।