মোশারফ হোসেন :: সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে ১০ পিস সোনার বার ও তিন কেজি রুপার গহনাসহ দুই চোরাকারবারিকে বিজিবি ও থানা পুলিশ আটক করেছে। এসময় পাচারের জন্য সীমান্তে নিয়ে যাওয়া সোনা ও রুপা জব্দ করা হয়। সোনাসহ আটক চোরাকারবারির নাম মো: কামরুজ্জামান ওরফে বুদু (৩৫)। সে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্তবর্তী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে রুপাসহ আটক চোরাকারবারির নাম মোজবাউদ্দীন (২৫)। সে উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
বিজিবি ও থানা পুলিশ জানায়, ভারতে পাচারের জন্য জব্দকৃত সোনার বার সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্ত থেকে স্বর্ণসহ আটক চোরাকারবারীর নাম মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ওরফে বুদু (৩৫)। সে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি সীমান্তবর্তী গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। বিজিবি জানায়, কেঁড়াগাছি সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি বড় চালান পাচার করা হচ্ছে সোর্স মাধ্যমে এমন একপি গোপন পাওয়া যায়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা বিওপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুস সবুরের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্তের চোরাকারবারী বুদুর বাড়িতে অভিযান চালায়।
এ সময় সেখান থেকে ১০ পিস স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী বুদুকে হাতে নাতে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক কলারোয়ার কাকডাঙ্গা বিওপির হাবিলদার শহীদ হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবির অপর একটি টহলরত সদস্যরা এক চোরাকারবারিকে তাড়া করে ২ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করে। জব্দকৃত মোট ১২ পিস স্বর্ণের বারের ওজন ১ কেজি ৮৫০ গ্রাম। যা কালো কজটেপ দিয়ে এক সাথে দুই পিস করে জড়ানো ছিল। সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্ণেল গোলাম মহিউদ্দীন খন্দকার বিষিয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক সোনার মূল্য ৮৯ লাখ ২৯ হাজার ৪০৬ টাকা।
এদিকে কলারোয়া থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার সীমান্তবর্তী চোরাচালানী মেজবাউদ্দীনকে দমদম রোড থেকে আটক করা হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে তিন কেজি রুপার গহনা জব্দ করা হয়। যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।