মার্চ ১৬, ২০২০
করোনায় সচেতনতা তৈরিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গণবিজ্ঞপ্তি
ন্যাশনাল ডেস্ক : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৬ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সময়ে করোনাভাইরাস বিশ্বময় আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। দেশে সব মিলিয়ে আট জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেলেও নতুন আরও তিন জন শনাক্ত হয়েছেন। কাজেই এই ভাইরাস প্রতিরোধে এখনই জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি প্রয়োজন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাবিশ্বে হোম কোয়ারেন্টাইন (নিজ গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থান) একমাত্র কার্যকর উপায় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে প্রত্যাগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশে এই ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। এমতাবস্থায় বিদেশ থেকে প্রত্যাগত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা অতীব জরুরি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় জাতীয়, বিভাগীয়, সিটি করপোরেশন এলাকায়, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কমিটি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণ করবেন: ১. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা ১৪ (চৌদ্দ) দিন ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং নিজ বাড়ির নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থান করবেন। ২. পরিবারের অন্যান্য সদস্য দেশে প্রত্যাগত সদস্যের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করবেন। ৩. গঠিত কমিটিসমূহ সম্প্রতি বিদেশ প্রত্যাগত ব্যক্তিদের বাড়ি চিহ্নিত করবেন এবং তাদের গৃহে সার্বক্ষণিক অবস্থানের বিষয়ে তদারকি করবেন। ৪. গঠিত কমিটিসমূহ হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দকে (যেমন: পৌর মেয়র, পৌর কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বার, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সহকারী, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার, পরিবারকল্যাণ সহকারী, পরিবারকল্যাণ পরিদর্শক, গ্রাম পুলিশ, স্থানীয় সাংবাদিক) বিদেশ থেকে প্রত্যাগত ব্যক্তি সম্পর্কে অবহিত করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পৃক্ত করতে হবে। ৫. কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসতে পারবেন না তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব। ৬. যদি কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া ব্যক্তি উপর্যুক্ত নিয়ম ভঙ্গ করেন, তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তা নেবেন। ৭. প্রয়োজনে ৩নং ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সিভিল সার্জন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। ৮. হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা অসুস্থ হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনে স্থানীয় সিভিল সার্জন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ৯. কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন তাহলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত আইনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন। ১০. প্রতিদিন এ বিষয়ে জেলাভিত্তিক একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্বাস্থ্য অধিদফতরের ই-মেইল controlroomdghs@yahoo.com ও মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ই-মেইল hsdcontrolroom@gmail.com-এ পাঠাবেন। 8,576,992 total views, 4,762 views today |
|
|
|