নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের হরিণের চামড়ার তৈরি আসনের আশীর্বাদের বেশকিছু ছবি ফেইবুকে ছড়িয়ে পড়ায় সমলোচনা উঠেছে। তবে আসনটির তার পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় সৌম্য সরকারের বাবা সাবেক সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এই হরিণের চামড়াটি বহু পুরানো। এটির উপর বসে প্রার্থনা করা হয়। এটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এটি আমার পারিবারিক ঐতিহ্য হিসেবে বংশানুক্রমে পাওয়া। আমি আমার বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। আমার জানা মতে আমার বাবা পেয়েছিলেন দাদুর কাছ থেকে। তবে এটি প্রথমে কে ব্যবহার করেছিলেন সেটা আমার জানা নেই। আমার পূর্ব পুরুষ থেকে পাওয়া আরো অনেক জিনিস আমার কাছে আছে। সৌম্য আমার ছোট ছেলে। তার বিয়ে নিয়ে অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। তবে হরিণের চামড়ার বিষয়টি নিয়ে একটি গ্রুপ তিলকে তাল করার চেষ্টা করছে। অতি উৎসাহী হয়ে একটি বিশেষ মহল রং-চং করে আমার পারিবারিক ঐতিহ্যকে ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।
ছবিতে দেখা যায়, হরিণের চামড়ার তৈরি আসনের ওপর কখনও বসে, কখনও দাঁড়িয়ে সৌম্য। তার আশীর্বাদের সব কার্যক্রম সম্পন্ন হয় হরিণের চমড়ার ওপরই। পারিবারিক আয়োজনে গোপনে বিয়ের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও কনে প্রিয়ন্তি দেবনাথ পূজার সঙ্গে সৌম্যের জানাশোনা অনেক আগে থেকেই। সোমবার খুলনায় কনের বাড়িতে হয়েছে আশীর্বাদ অনুষ্ঠান। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা শহরের মধ্য কাটিয়া এলাকায় সৌম্য সরকারের বাড়িতে সম্পন্ন হয় ছেলের বাড়ির আশীর্বাদ।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটার সৌম্য সরকারের হরিণের চামড়ায় আশীর্বাদের বিষয়টি আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। তবে আলোচনা সমালোচনা হতেই পারে। এটা পুলিশের আমলযোগ্য কোন বিষয় নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু এটা তাদের পারিবারিক ঐতিহ্যের ব্যাপার। বংশানুক্রমে তারা এটি পবিত্রতার প্রতিক হিসেবে প্রার্থনা করে আসছে। তাই এ বিষয়টি স্পর্শ কাতর তো বটেই। আমরা আমলে নেব না। তবে কেউ অভিযোগ করলে তদন্তপূর্বক বিবেচনা করা হবে।
পারিবারিক ঐতিহ্যের নিদর্শন হরিণের চামড়ার উপর দাঁড়িয়ে সৌম’র বিয়ের আশীর্বাদ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/