Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনিতে আ.লীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আশাশুনি : মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শোভনালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বসুখালী গ্রামের মুনছুর আলী গাজী লিখিত বক্তব্যে জানান বালিয়াপুর মৌজায় ২১.৩৩ একর জমি ৯২/ক লাওয়ারেশ হিসেবে ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত হওয়ার পরে আমি, হায়দার ও সোহরাব ২০০৫ সালে সাব-জজ ২ আদালতে উক্ত জমি ফিরে পেতে মামলা দায়ের করি। সেই থেকে উক্ত জমি আমাদের দখলে আছে। এরমধ্যে ৪ বিঘা জমি আমরা মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, বসুখালী হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও বসুখালী দাখিল মাদ্রাসার অনুকুলে সাইনবোর্ড স্থাপন করে দখল বুঝে দিই। মসজিদ-মাদ্রাসা কমিটি এলেম গাজীর ছেলে মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রেতা এরশাদের কাছে উক্ত ৪ বিঘা জমি হারী দিলে সে গোপনে তার থেকে ২ বিঘা জমি আহাদ ও শাহজাহানের কাছে হস্তান্তর করে। মসজিদ কমিটি সে জমি উদ্ধার করতে না পেরে বাকী জমি হোসেন গাজীর কাছে হারী দেয়। ২০১৭ সালে মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী আক্কাছ, হাজী আরাফাত ও আলী হায়দার আমার ছেলে তুহিন হোসেন লিটনকে হারী দেন। বর্তমানে উক্ত জমি মসজিদের মুসল্লী মাও. রেজাউলের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।
জমি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় এরশাদ তার সহযোগী শাহাদাৎ, হামিদুল ও হাফেজ আইয়ুব লোকজন নিয়ে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে আমার ছেলের মৎস্য ঘেরে ঢুকে মাছ লুট ও বাসা ভাঙচুর করে আমার ছেলে, স্ত্রীসহ আমাকে বেদম মারপিট করে। আমি থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তারা চলে যায়। পরদিন ১৪ ফেব্রæয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। কিন্তু তারা আমার রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করতে শাহাদাৎ নিজেকে ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ১৬ ফেব্রæয়ারি বিকালে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে মানববন্ধন করে। সেখানে আমাকে চাঁদাবাজ, দখলবাজ, মসজিদের জমি জবর দখলকারী হিসেবে মিথ্যাচার করে। আমি এই হীন মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে উক্ত মাদক বিক্রেতা ও চিহ্নিত চাঁদাবাজদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version