এম.এম. নজরুল ইসলাম, পাইকগাছা প্রতিনিধি : পাইকগাছার তেতুলতলা রাস্তাটি খানা খন্দরে পরিণত হয়ে জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জন দুর্ভোগ চরমে পৌছালেও কর্তৃপক্ষ নীরব ভুমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। সরেজমিনে জানা যায়, পাইকগাছার লতা ইউপির শংকরদানা হতে গংগারকোনা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার তেতুলতলা রাস্তা। রাস্তাটির দু’ধারে রয়েছে মৎস্য লিজ ঘের। ইটের সোলিং এ তৈরি রাস্তাটি ভেঙে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে রাস্তাটি। ইট উঠে গিয়ে প্রায় শতাধিক স্থানে খানা খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ইঞ্জিন চালিত যান বা পায়ে চালিত বাইসাইকেল ও ভ্যান চলাচলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা এটি। এমন কি পার্শ্ববর্তী দেলুটি ইউনিয়নের একাংশ ও লতার হানিরাবাদ, মুনকিয়া, কাঠামারী, আন্ধারমানিক সহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া তেতুলতলা ও পানা গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পাশের গ্রামের ওয়াজেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার একমাত্র রাস্তা তেতুলতলা রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির ইটের সোলিং সরে শত শত খানা খন্দে পরিণত হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে কাঁদা মাটি মেখে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতে হয়। এ সময় বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া রাস্তার দু’ধারে চিংড়ি মাছের লিজ ঘের থাকায় মৎস্য মৌসুমে ঘের মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের যানবাহনের অভাবে মাথায় অথবা বাকে করে মাছ সরবরাহ করতে হয়। আবার ঘের মালিকদের ঘেরের পানির কারণে রাস্তাটি দ্রæত ভেঙে যায় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ইউপি সদস্য কৃষ্ণপদ রায় জানান, ‘রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্ব পূর্ণ রাস্তা। কিন্তু সংস্কারের অভাবে জন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। এলাকার লোকের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে এমপি মহোদয়কে জানানো হয়েছে। তিনি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই সংস্কার করা সম্ভব হওয়ার আশা রয়েছে’। এলাকার সচেতন মহল হিন্দু অধ্যুষিত এলাকার দাবি তুলে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাইকগাছার তেতুলতলা রাস্তাটির বেহাল দশা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/