আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে যৌতুকের দাবিতে দুই সন্তানের জননী জাহানারাকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলির সহযোগিতায় স্থানীয় লোকজন তাকে ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয় পাষÐ স্বামী শোভনালী গ্রামের মৃত লেয়াকত আলী খলিফা’র ছেলে নুর ইসলাম খলিফা। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহানারাকে তার মায়ের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে শোভনালী গ্রামে। বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর মেয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ জাহানারা খাতুন (৩৩) জানান, ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। আমাদের দুটি সন্তান আছে। নুর ইসলাম বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য আমাকে মারধর করত। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলি আপা বিষয়টি একাধিকবার মীমাংসা করে দিয়েছেন।
কয়েক মাস আগে সে পাকা ঘর করবে বলে আমার বোনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেয়। ৪ মাস আগে টাকা ফেরত দেওয়াকে কেন্দ্র করে নুর ইসলাম আমাকে মারধর করলে আহত অবস্থায় আমি বাপের বাড়ি চলে যাই। সোমবার সকালে মহিলা বিষয়ক অফিসে প্রশিক্ষন গ্রহণের জন্য আশাশুনি যাওয়ার পথে নুর ইসলাম আমাকে রাস্তা থেকে জোর করে টেনে নিয়ে ঘরে তালা বন্ধ করে রাখে। এ বিষয় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিলি জানান, তাদের পারিবারিক কলহ কয়েক দফায় মীমাংসা করে দিয়েছি। রবিবার ঘরে তালা দিয়ে আটকে রেখেছে শুনে আমি থানা পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহয়োগীতায় তাকে উদ্ধার করেছি। এস আই বিজন কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভিকটিম জাহানারাকে উদ্ধার করে তার মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/