Site icon suprovatsatkhira.com

কৈখালীতে বোডম্যান নবাবের মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন : পরিবারের দাবি হত্যা

রমজাননগর প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ফরেষ্ট অফিসের মাঝি ( অস্থায়ী ) নবাব আলীর মৃত দেহ গত সোমবার রাত্র ৯টার দিকে মাদার নদী সংলগ্ন কৈখালী কোষ্টগার্ডের পল্টনের পাশ থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। নবাব আলী পূর্ব কৈখালী গ্রামের মৃত মজিদের পুত্র। শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমূল হুদা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ সুরত হাল করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। নবাব আলীর মৃত দেহ ময়না তদন্তের পর দাফন সম্পর্ন্ন হয়েছে। এ মৃত্যু নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন চলছে। স্থানীয় একটি সূত্রে বলছে ঐ এলাকায় ইতি পূর্বে ইয়াছিন নামে এক যুবকের লাশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায় । ইয়াছিন হত্যা কান্ডের আসামীগণ আইনের ফাঁক ফোকর গলিয়ে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় বিচারন করছে। ঐ সমস্ত আসামীরা পার পাওয়াতে ইয়াছিন হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নবাব আলীর পরিবারের দাবি ইয়াছিন হত্যা কান্ডের মূলহোতা পূর্ব কৈখালী গ্রামের আনছারের পুত্র ফারুকের সাথে বিরোধের জের ধরে নবাব আলীকে রাতের যে কোন সময়ে শ্বাসরোধ করে বা অন্য কোন ভাবে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। নবাব আলীর জামাই নজরুল জানান , রবিবার রাত ১০ টার দিকে কেউ তার শশুরকে মোবাইল করে ডাকেন। এতে তার পরিবার ভাবছিল ফরেষ্ট অফিস থেকে ডাকছে। সোমবার ফরেষ্ট অফিস থেকে তার শশুরকে খুজতে আসে। তখন থেকে নবাব আলীকে বিভিন্ন স্থানে খুজে কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। রবিবার রাতে কৈখালী ফরেষ্ট অফিস থেকে নবাব আলীকে মোবাইল ফোনে ডাকা হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে উক্ত স্টেশনের এস ও মোঃ কামরুল হাসান বলেন তাদের অফিস থেকে নবাব আলীকে ঐ রাতে মোবাইলে ডাকা হয়নি । তিনি আরও বলেন নবাব আলী প্রায় ১ বছর ৩ মাস যাবত কৈখালী ফরেস্ট অফিসের অস্থায়ী মাঝি হিসবে কাজ করছে। তার আচার আচারন ভালো ছিলো। তার কোন শত্রæ থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন না। ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, নবাব আলীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন নবাব আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন এজহার দেয়া হয়নি তবে ময়না তদন্তে হত্যাকান্ড বলে রিপোর্ট আসলে মামলা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version