Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জ বসন্তপুর গুদামের ফেরত দেওয়া চাল জব্দ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকার কৃষকের ন্যায্য অধিকার প্রদানের লক্ষে লটারি করে প্রকৃত চাষি বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেই তালিকা ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করার কথা থাকলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য অসৎ পথ অবলম্বন করে চলেছে। তাদের এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন সুকৌশলে। দু’একজন ধরা পড়লেও বাকিরা রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এ চক্রের এক সদস্য ৩১৭ বস্তা নিম্নমানের চাল গুদামে সরবরাহ করেন। কিন্তু চাউলের মান অত্যান্ত নিম্ন হওয়ায় মঙ্গলবার তা সাতক্ষীরায় মোম পালিশ করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এমন সময় তাকে মাঝ রাস্তায় ধরে ফেলে প্রশাসন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন। পরে ঐ ব্যবসায়ী কালিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নলতা গ্রামের আব্দুল্লা খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম স্বীকার উক্তিতে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন তথ্য। এদিকে, মঙ্গলবার সকালে সখিপুর বাজারের চাল ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম সরকারি লেবেলে দেওয়া প্রায় ১৫০ বস্তা চাউল কালিগঞ্জের বসন্তপুর গুদামে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয় জানতে পেরে ছিটকে পড়ার চেষ্টা করেন তিনি। তার কাছে সরকারি লেবেল করা বস্তায় চাল পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে ওঠেন। এমনকি একটি ভুয়া স্লিপ দেখিয়ে গুদামে চাল পাঠানো হচ্ছে বলে জানান। কিন্তু এ বিষয়ে ঐ গুদামে যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না বলে দাবি করেন। অপর এক ব্যবসায়ী ভাড়াশিমলা এলাকার জামিরুল ইসলাম চাল উৎপাদন না করে যত্রতত্র ভাবে বাইরের আমদানি করা ২২০ বস্তা চাল গুদামে পাঠালে কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহণ করেননি। তবে সরকারি বস্তা সংগ্রহ করে অবৈধ ভাবে চাল সরবারহ করে প্রকৃত কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নিম্নমানের চাল সরবারহ করে সরকারের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version