Site icon suprovatsatkhira.com

আশাশুনির টানা বর্ষণে আমন ধান ও সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি

সমীর রায়, আশাশুনি : দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও দুই দিনের বৃষ্টিতে আশাশুনির পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শনিবার পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। তার সঙ্গে ভারী ও গুঁড়ি গুঁড়ি বর্ষণ এবং তীব্র শীতে গোটা উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। বৃষ্টির পানিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাকা আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ক্ষেতের। উপজেলার বুধহাটা, কুল্যা, দরগাহপুর, কাদাকাটি, বড়দল, খাজরা, আনুলিয়াসহ ১১টি ইউনিয়নের সর্বত্রই আমন ধান ও সিতকালীন সবজি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে হাটে বাজারে বিভিন্ন সবজির দরদামে। মাঠের পাকা ধান কেউ কেটে রেখেছেন শুকানোর জন্য, কেউ কাটতে পারেননি আবার কেউ বাড়িতে পালা দিয়ে রেখেছেন। এরমধ্যে বৃষ্টির পানিতে কাটা ধান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমন ছড়িপোকা লেগে মাঠের ধানও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচন্ডে শীত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কৃষক চাইলেও প্রয়োজনমত শ্রমিক পাননি। সমস্ত মাঠ ও উঠানে কাদা হয়ে এবং নতুন করে শৈত্যপ্রবাহের সৃষ্টিতে কৃষকের কষ্টের ফসল ঘরে তোলাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। খাজরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দীনেশ মÐল জানান- আমার ১৫ বিঘার জমির পাকা ধান কেটে ক্ষেতে শুকাতে দিয়েছিলাম। অসময়ে বর্ষার কারণে আমার পুরো জমির ধান পানিতে ডুবে আছে। একর প্রতি ৫ মন ধান কম হওয়ার সম্ভবনা আছে। খালিয়া গ্রামের সবজি চাষি মোতালেব হোসেন জানান,অসময়ে বৃষ্টির কারণে সদ্য রোপণ করা আলুর বীজ, লালশাকের পাতায় সাদা স্পটসহ শীতকালীন সবজি পোঁচে যাচ্ছে। যেসব কৃষকের সাথে কথা হয়েছে তারা জানান ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতের পরও আমরা ভাল ফসল আশা করছিলাম। কিন্তু টানা দু দিনের বর্ষায় আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে গেল। এছাড়া নতুন করে শৈত্যপ্রবাহ আমাদের আরও কষ্টের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমরা সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান জানান, উপজেলার অধিকাংশ পাকা আমন ধান বৃষ্টির পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সমস্ত মাঠ কাদা হয়ে আছে। আমরা কৃষকদের পাশে থেকে তাদের সকল পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version