পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় গড়ইখালী আলমশাহী ইনস্টিটিউশনে টাকার বিনিময়ে বই বিতরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবদীন তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। রোববার দুপুরে তিনি ইনস্টিটিউশনে পৌঁছে অভিযোগকারী, ম্যানেজিং কমিটি সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে তদন্তের এক পর্যায়ে বই উৎসবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেজন চার্জের নামে টাকা নেবার বিষয়টি মূল উদ্দেশ্য বিঘিœত ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তদন্তের সময় অভিভাবক শারীরিক প্রতিবন্ধী আলমগির গাজি, প্রভাষক মোস্তাক গাজি ও তরিকুল ইসলাম সানা বলেন, ১ জানুয়ারি বই উৎসবে এ প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীরা নতুন বইয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী স্কুল কর্তৃপক্ষকে টাকা না দেওয়ায় তারা খালি হাতে বাড়িতে ফেরত আসায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। তদন্তকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম কেরু বলেন, রশিদ ছাড়া টাকা নিয়ে বই বিতরণ এতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সুনাম নষ্ট করেছে। তাই এর প্রতিকার হওয়া জরুরী বলে তিনি দাবি করেন। তদন্তকালে আত্মপক্ষ সমর্থন করে প্রধান শিক্ষক মধুসূদন সরকার বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের অনুষ্ঠানের ঘোষনানুযায়ী বই বিতরণের দিন সেশন চার্জ স্বরূপ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট থেকে ৩’শ করে টাকা নিয়ে ব্যাংকে রেখেছি, যার রশিদও রয়েছে। তবে বই উৎসবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে থেকে এ ভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি যুক্তিযুক্ত কিনা এ নিয়ে বিভিন্নজন প্রশ্ন তুললে এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল গাইন বলেন, এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক সহ ২৭ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছে। দায়িত্বশীলদের এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, ২ জানুয়ারি গড়ইখালীর আলমগীর গাজি, ফারুক, খোকন গাজি, শিল্পী বেগম টাকা নিয়ে বই বিতরণের অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন।
টাকা নিয়ে বই বিতরণ অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/