জানুয়ারি ২, ২০২০
আদি যমুনা নদীর দু’ধারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান
ডেস্ক রিপোর্ট: আদি যমুনা নদীর শ্যামনগর সদরের আদি যমুনা নদীর দু ধার উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এস মোস্তফা কামাল এর নিকট এই স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে জেলা প্রশাসক স্মারকলিপির দাবির সাথে একমত পোষণ করে বলেন, সাতক্ষীরার উপক‚লীয় অঞ্চলের প্রধান নদী আদি যমুনা। ইছামতির মিষ্টি পানির প্রবাহ সুন্দরবনের মধ্যদিয়ে সাগরে যাওয়ার একমাত্র পথ আদি যমুনা নদী। সে কারণে আদি যমুনা নদীকে প্রবাহময় করতে যে ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন তা করা হবে। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন আদি যমুনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহŸায়ক ও প্রগতির প্রধান নির্বাহী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, শ্যামনগরের সদরের চেয়ারম্যান ও বিশেষ পিপি এড. জহুরুল হায়দার বাবু, সুশীলনের সহকারী পরিচালক জি এম মনিরুজ্জামান, প্রমুখ। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে, শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্যামনগর সদর দিয়ে প্রবাহিত আদি যমুনা নদীর উপর দিয়ে চলে যাওয়া সকল সংযোগ সড়কে ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে সোনারমোড়ে ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। এছাড়াও আদি যমুনার প্রধান বাঁধা মাদার নদী ও যমুনা সংযোগ স্থলে(চিংড়ীখালী) স্লুইজ নির্মিত হয়েছে। শ্যামনগর সদরের সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের চন্ডিপুর এলাকা থেকে নকিপুর বাজারের দক্ষিনপাশ্বস্ত মহাশশ্মানের ধার পর্যন্ত যে ৪টি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, সে গুলোর নীচ দিয়ে পানির প্রবাহ সৃষ্টি করতে হলে এ অংশের যমুনা নদীর খনন কাজ করা দরকার। কালিগঞ্জের অংশের আদি যমুনা খননের মাধ্যমে ইছামতির যে প্রবাহ নাজিমগঞ্জের পার্শ্ব হয়ে আসছে সে প্রবাহ শ্যামনগরের মহা-শশ্মান পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারবে। এটা করা সম্ভব হলে শ্যামনগর সদরসহ সকল ইউনিয়নের কৃষি জমি ও বসতভিটা জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে, তেমনি শ্যামনগর সদরের নকিপুর বাজার, উপজেলা পরিষদ, হাসপাতালের বর্জসহ সকল ধরনের বর্জ নদীতে চলে যাওয়ায় এলাকা দূষণ মুক্ত হবে। এলাকাটিতে কৃষি প্রতিবেশ ব্যবস্থা তৈরি হবে। যা আগামীর ভয়াবহ জলবায়ু জনিত সংকটে অভিযোজনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 8,330,649 total views, 3,546 views today |
|
|
|