Site icon suprovatsatkhira.com

তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন সভাপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ডেস্ক রিপোর্ট: আওয়ামী লীগে অনু-প্রবেশকারী ও রাজাকার পুত্র সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, তেতুলিয়া ইউনিয়নের ১ং আড়ংপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন।  তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আবুল কালাম আজাদ সুভাষিনি থেকে স্কুল জীবন শেষ করে যশোর জেলার কেশবপুর কলেজে শিক্ষা গ্রহণ কালে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষা জীবন শেষে তিনি একটি বে-সরকারি সংস্থা “উত্তরণ” এ চাকুরিতে যোগদান করে ২০০৮ সালে আয়ারল্যান্ডের টোকেয়ার প্রোজেক্ট “এডুকেশন” প্রকল্পে কাজ করা কালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে প্রমাণিত হলে তিনি চাকুরিচূত হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। যোগদানের পর ২০১২/১৩ সালে যখন জামায়াত-বিএনপি দেশে জালাও পোড়াও তান্ডব শুরু করেন তখন তিনি নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে গোপনে তাদের অর্থ জোগানও দিয়েছেন। পরে ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আরো বলেন, আবুল কালাম আজাদের পিতা ছিলেন একজন রাজাকার এবং চাচা কেরামত আলি ছিলেন তৎকালীন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের সময় পিচ কমিটির সভাপতি। ভাই সোলাইমান বর্তমানে জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়াও জামায়াত-বিএনপির সাথে তার রয়েছে গভীর সখ্যতা। পারিবারিক জীবনে তার স্ত্রী দিলরুবা বেগম পাটকেলঘাটার এক প্রভাবশালী বিএনপি নেতার বোন। বর্তমান সরকার দলে অনু-প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার ঘোষণার পরও তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে রাখায় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ ওয়ার্ড সভাপতিগণ ও নেতা-কর্মীরা তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দলের মধ্যে কোন্দল ও বিভেদ সৃষ্টি হতে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ৫ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমতাবস্থায় তিনি (সোহরাব) দলীয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী শেখ ইউসুফ আলী, হামিদুর রহমান, মিজানুর রহমান, কামরুল ইসলাম, রাজু মোড়ল, শাহাজা মল্লিক, পরিতোষ রায়, গণেষ ঘোষ, আঃ বারী, আতিয়ার রহমান, তহিদুজ্জামান, রুহুল আমিন, শংকর কুমার দাশ, কাজী আঃ হামিদ, মফিজুর রহমান প্রমুখ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version