Site icon suprovatsatkhira.com

মসজিদের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক মসজিদের সম্পত্তি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ ও এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে মসজিদের নীচে ছাউনি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গয়ড়া গ্রামের মৃত ইছাহক আলী মোড়লের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান আলী এ অভিযোগ এনে বলেন, কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম একজন আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী। তার পিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ছোটবেলা থেকে সুচতুর মনিরুল আস্তে আস্তে অপরাধ জগতে পা বাড়িয়ে আজ সে অঢেল সম্পত্তির মালিক। এক সময় সে চোরাচালান ও চোরা ঘাট পরিচালনা করতো। কালো টাকার প্রভাবে সে চন্দনপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। গয়ড়া বাজারে জামে মসজিদের জায়গা দখল করে সেখানে করেছে দোকান নির্মাণ। এছাড়া এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে আত্তসাৎ করেছেন। পরবর্তীতে গয়ড়া বাজার জামে মসজিদের ছাদের তলা ব্যবহার করে সেখানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন দেখানো হয়েছে। গয়ড়া বাজারের বাথরুমের পাশে ঘর নির্মাণ এবং মসজিদের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ। এছাড়া হিজলদী বাজারে বিশাল দুটি মার্কেট বাজারের জমিতে নির্মাণ করে বিক্রয় করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ প্রকল্পের স্কীমে যাত্রী ছাউনিটি গয়ড়া বাজারে আকবরের চায়ের দোকানের পাশে নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু করা হয়েছে মসজিদের গায়ে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করলে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কলারোয়া উপজেলার এসিল্যান্ডকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এসিল্যান্ড কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে সহযোগিতা করে ঘর নির্মাণের অনুমতি দেন। যাবতীয় কাগজপত্র মসজিদের নামে থাকলেও এসিল্যান্ডের এমন ভুমিকায় এলাকার মুসল্লিরা হতবাক হয়েছেন। তিনি পুনরায় তদন্ত করে দুনির্তীবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version