ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
আশাশুনিতে রাজাকারের তালিকায় দুই ব্রাহ্মণ! : সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
![]() আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে রাজাকারের তালিকায় দুই হিন্দু ব্রাহ্মণ, এক মুক্তিযোদ্ধার বাবাসহ তিনজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধার নাম অন্তভর্‚ক্ত হওয়ার প্রতিকারে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও ইউএনও’র মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন খাজরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ। সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ঘোষিত রাজাকারের তালিকায় গদাইপুর গ্রামের ফয়জুদ্দীন সরদারের ছেলে মোজাহার সরদার, তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের সতিন্দ্র নাথ মূখার্জীর ছেলে প্রয়াত স্কুল শিক্ষক সুবোধ মূখার্জী, অক্ষয় মূখার্জীর ছেলে প্রয়াত স্কুল শিক্ষক জিতেন্দ্র নাথ মুখার্জী, গদাইপুর গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের দুই ছেলে জিয়াদ সরদার ও মিয়ারাজ আলী সরদারের নাম অন্তভর্‚ক্ত হয়েছে। যাদের সবার গ্রামের ঠিকানা আশাশুনি ব্যবহার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে খাজরা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এবাদুল মোল্যার উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রইচ উদ্দীন (গেজেট নং- ৩৬)। তিনি বলেন- মোজাহার সরদার ছিলেন একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাকে আসামি করে মৃত নওশের আলী সরদারের ছেলে নাজিম উদ্দীন সাতক্ষীরা আদালতে সিআরপি- ১৫১/২০০৯ নং একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালতের বিচারে মোজাহার সরদার নির্দোষ প্রমাণিত হলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে উক্ত নওশের আলী এলাকায় চোর নওশের বলে পরিচিত ছিল। সত্তর সালে অস্ত্র-গুলি সহ সে পুলিশের ধরা খেয়ে নিখোঁজ হয়। সে কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিল না। 7,762,010 total views, 215 views today |
|
|
|