তালা প্রতিনিধি: তালায় আদালতের রায় পেয়েও জমি দখলে যেতে পারছে না মাগুরা গ্রামের মৃত মো: জালাল উদ্দীন ফকিরের ছেলে এ.কে.এম কামরুজ্জামান ও তার পরিবার। উল্টো রায় বিপক্ষে যাওয়া সত্ত্বেও জমি দখল করে ঘর নির্মাণের উৎসবে মেতেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মাগুরা গ্রামের এ.কে.এম কামরুজ্জামান জানান, তারা মাগুরা বাজারের এসএ জরীপের ১২৩৭ নং খতিয়ানে ১৩৯৫ দাগের ৬৬ শতক জমির মধ্যে ৩০শতক জমি আব্দুল করিম সিদ্দিকীর একমাত্র ছেলে হাফিজুর রহমানের কাছ থেকে তার পিতা মো: জালাল উদ্দীন ক্রয় করে দখল বুঝে নেয়। অপর এস.এ জরিপ ১২৪৬ নং খতিয়ানে ১৪১৩ দাগে অন্যতম প্রজা আব্দুল করিমের একমাত্র ছেলে এ এস এম হাফিজুর রহমান এবং আব্দুল মালেক মোট ৫৬ শতক জমি বাদী পক্ষের মাতা ক্রয় করিয়া দখল বুঝে নেয়। পরবর্তীতে মাগুরা গ্রামের মৃত শফিয়ার রহমানের ছেলে শেখ আতিয়ার রহমান এর সাথে দ্ব›েদ্বর সৃষ্টি হলে এ.কে.এম কামরুজ্জামান ৩৭৫/৮৪ নং মামলা দাখিল করে। উক্ত মামলায় বাদী পক্ষ ২৩.০২.১৯৯১ তারিখে ডিগ্রি হয় এবং ০৬.০৩. ১৯৯১ তারিখে ড্রন আপ হয়। উক্ত মামলা রদরহিত করার জন্য বিবাদী পক্ষ ০৫/১৯৯২ নং মামলা করেন যাহা দোতরফা বিচারে বিগত ১৭.০৩.১৯৯৪ তারিখে ডিসমিস হয় এবং ইং ২৪.০৩.১৯৯৪ তারিখে ডিসমিসাল ডিগ্রি ড্র আপ হয়। উক্ত রায় ডিগ্রির বিরুদ্ধে ০৫/১৯৯২ মামলার বাদী পক্ষ সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতে দে, আপিল ৫৬/৯৪ নং দাখিল করেন যাহা ১০.০৫.১৯৯৭ তারিখে ডিসমিস হয়। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে উক্ত ৫৬/৯৪ মামলার বাদী পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন নং ১০৮/১৯৯৮ দাখিল করেন। উক্ত সিভিল রিভিশন না চালানো হেতু বিগত ইং ২৬.০১.২০১২ তারিখে রুলটি ডিসচার্জ হয়। বিবাদী পক্ষ ৩১.১২.৬৪ তারিখে ১৮২১ নং রেজিস্ট্রীকৃত কোবলা এবং ১৮.০৪.৬৯ তারিখের রেজিস্ট্রীকৃত কোবলা কোবলা সৃষ্টি করেছে তাহা জাল, তঞ্চকী ও পণবিহীন তাহা মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হইয়াছে এবং বিবাদী পক্ষের দলিল সাতক্ষীরা কোর্টের সেফ কাস্টোরিতে আটকানো রয়েছে।
এদিকে বাদী পক্ষ ৩৭৫/৮৪ নং মামলার রায় ডিগ্রি পাওয়ার পর বিবাদী পক্ষকে উচ্ছেদ করার জন্য ২৩০/১১ নং মামলা করে। উক্ত দেওয়ানি মামলায় বিবাদী পক্ষ জবাব দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিবাদীর জ্ঞাতসারে ০৭.০১.২০১৮ তারিখে বাদীপক্ষ ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। উক্ত মোকদ্দমার বাদী পক্ষ ডিগ্রি কার্যকর করার জন্য দেওয়ানি ০১/১৮ জারি মামলা কলারোয়া কোর্টে দাখিল করেন। যা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। বর্তমানে আদালতের নির্দেশনা না থাকা সত্তে¡ও বিবাদী পক্ষ ৭৭/১৮ নামে ১টি ডিগ্রি রদের মামলা দাখিল করে উক্ত জমিতে জোরপূর্বক দোকান পাট, ঘরবাড়ি, নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে বাদী পক্ষের লোকবল না থাকায় এবং দুর্বল হওয়ার কারণে তারা থানায় অভিযোগ করেন। তালা থানা পুলিশ কয়েক দফা সালিশি বৈঠকে বসলেও অদ্যবিধ কোন শান্তিপূর্ন সমাধান করতে পারেনি বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
অপরদিকে আদালতের একাধিক রায় থাকা সত্তে¡ও বাদী পক্ষ জমিতে যেতে পারছে না অথচ উল্টো বিবাদীরাই উক্ত জমি দখল করে স্থাপনা গড়ছে। বিবাদী পক্ষ আদালতের ৩৭৫/৮৪ ও ২৩০/১১ রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে সেখানে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রæত হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন।
আদালতের রায় পেয়েছে এক পক্ষ; জমি দখলে অন্য পক্ষ!
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/